অবহেলার শেষ পরিণতি পর্ব - 04
# অবহেলার শেষ পরিণতি #
% লেখকঃ রুবেল %
পর্ব - 4
আমি - আমি রিয়াকে ভালোবাসি আর সেটা মন থেকে.......
।
আমি কথাটা বলতেই পেছন থেকে কেউ আমাই ডাকদিল, আমি পিছেন তাকাতেই অবাক হলাম কারন পিছনে থেকে রিয়া আমাই ডাকছিল.......
রিয়া - আপনি রাসেলকে কি বলছিলেন.......?
সত্য।
আম - যা বলেছি সত্যি বলেছি.....(ভয়ে ভয়ে)
।
রিয়া - তা সত্যিটা কি.......?
।
আমি - সত্যি এটাই যে আমি আপনাকে মন থেকে ভালোবাসি আর রাসেল আপনাকে মন থেকে ভালোবাসেনা রাসেল শুধু আপনাকে ব্যবহার করেছ...
।
ঠাসসস্ ঠাসসস্ ঠাসসস্
।
কথাটা বলতেই রিয়া আমায় চর মারল আর আমি গালে হাত দিয়ে রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছি
।
রিয়া - আপনার সাহস হল কি করে রাসেলের সম্পর্কে এসব বাজে কথা বলার.....( রেগে চোখ লাল করে বলল)😠😠😠
।
আমি - আমার কথাটাত শুনুন......
।
রিয়া - না আমি আপনার কোন কথা শুনতে চাইনা আর আপনি রাসেলকে কি বলছিলেন আপনি আমাই মন থেকে ভালোবাসেন। আপনি ভাবলেন কি করে আমি আপনার মত মাস্তান খারাপ চরিত্রহীনকে ভালোবাসব...... (তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে কথাগুলো বলল)😁😁😁
।
আমি - আপনি আমাই ভুল বুঝছেন.....
।
রিয়া - আমি ভুল বুঝছি না। আপনি আমার সামনে থেকে চলে যান সেটাই আপনার জন্য ভালো হবে...😠😠😠
।
আমি - আমার কথাটাত শুনুন প্লিজ.... (করুন গলাই)🙏🙏🙏
।
রিয়া - আপনি যাবেন নাকি আমি পিন্সিপাল এর কাছে আপনার নামে কমপ্ল্যান করব......
।
আমি - ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি....😥😥😥
।
তারপর রাসেল আর রিয়ার কাছ থেকে চলে আসলাম। রিয়ার কথাগুলো বারবার কানে বাজছে কেন জানি বুকের ভিতর খুব কষ্ট হচ্ছিল। হঠাং খেয়াল করলাম চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। 😢😢😢
চোখের পানি মুছে কলেজ থেকে বাড়ি চলে আসলাম। আজ নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছে কারন আজকের মত সবার সামনে কেউ কখনো আমাই এভাবে অপমান করেনি। তাই সারাদিন বাসাই থাকলাম, রাতটা রিয়ার কথা ভাবতে ভাবেতই কাটিয়ে দিলাম। পরেরদিন কলেজে যেতেই........
রাসেল - কি হিরো কোথাই যাচ্ছিস .....
।
আমি - আমার ক্লাস আছে যেতে হবে। রাস্তা ছাড়ো.....
।
রাসেল - ক্লাসত পেরও করতে পারবি। এখন আমার কথাগুলো শুন......
।
আমি - আমি এখন কারোও কথা শুনতে চাইনা...
।
রাসেল - যদি রিয়ার বিষয়ে হয় তাও শুনবি না......?
।
আমি - মানে......? 🙉🙉🙉
।
রাসেল - হুম আমি রিয়াকে নিয়ে তোর সাথে কথা বলতে চাই।
।
আমি - ওকে বল কি বলতে চাও......?
।
রাসেল - তুই জানিস আমি রিয়াকে কেন পোপ্রজ করেছি.....?
।
আমি - না। কেন করেছ………..?( অবাক হয়ে )
।
রাসেল – কারন আমি জানতাম তুই রিয়াকে ভালোবাসিস আর রিয়ার কোন ক্ষতি করলে সেটা দিগুন হয়ে তোর গায়ে লাগবে …………?
।
আমি – তুমি আমার ক্ষতি করার জন্য আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য রিয়াকে তোমার প্রেমে ফাসিয়েছ …… (অবাক হয়ে )
।
রাসেল – হুম …………
।
আমি – তুমি যদি রিয়ার কোন ক্ষতি করার চেষ্টা কর তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবেনা………..(রেগে বললাম )
।
রাসেল – আমিত রিয়ার ক্ষতি করবই তুই পারলে তোর ভালোবাসাকে বাচিয়ে দেখা………..
।
রাসেল কথাটা বলে চলে গেল আর আমি ভাবছি কিভাবে রাসেলের হাত থেকে রিয়াকে বাচাবো. এই কয়েকদিন এ রিয়াকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি ,জানিনা কেন শুধু জানি রিয়াকে ছাড়া আমি নিশ্ব:
তাই রিয়াকে সাবধান করার জন্য খুজতে লাগলাম . কেন্টিনে গিয়ে দেখি রিয়া কেন্টিনে বসে আছে তারপর আমি রিয়ার কাছে গেলাম ……….
আমি – আমার কিছু কথা বলার আছে আপনাকে …………….?
।
রিয়া – আমি আপনার কোন কথা শুনতে চাইনা ………..? (বিরক্ত হয়ে)
।
আমি – প্লিজ কথাগুলো শুনুন . আমি যা বলতে চাইছি সেগুলো আপনার জানা খুব দরকার ………….? (অনুরোধ করে বললাম )
।
রিয়া – ওকে যা বলার তাড়াতাড়ি বলেন আমার কাজ আছে………
।
আমি – আমার কথাটা বিশ্বাস করেন আমি মিথ্যা বলছিনা রাসেল আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আপনার সাথে প্রেমের অভিনয় করছে. রাসেল জানে আপনার ক্ষতি করলে সব থেকে বেশি কষ্ট আমি পাব তাই সে আপনাকে ভালোবাসার ফাদে ফেলে আপনার ক্ষতি করতে চাইছে ……..
।
কথাগুলো বলতেই ঠাসসস্ ঠাসসস্ ঠাসসস্
আমি বোকার মত গালে হাত দিয়ে রিয়ার দিকে করুন চোখে তাকিয়ে আছি আর ক্যান্টিনের সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে ……..
রিয়া – তুই আবার আমার কাছে রাসেল এর সম্পর্কে বাজে কথা বলছিস . তুই কি ভাবছিস তুই আমাকে রাসেল এর সম্পর্কে বাজে কথা বললেই আমি রাসেলকে ভুল বুঝে তোকে ভালোবাসব তুই যদি এটা ভাবিস তবে খুব ভুল করছিস . আমি শধু রাসেলকে ভালোবাসি .তোর মত মাস্তান চরিত্রহীনকে আমি কখনো ভালোবাসব না .
কথাগুলো বলে রিয়া চলে গেল আর আমি সেখানে দাড়িয়ে চোখের জল ফেলছি . তখনি ………
।
নাজমুল – হাসান তুই রিয়াকে ভুলে যা . রিয়া তোর যোগ্য না ভাই ……….( কাদে হাত দিয়ে )
।
আমি – আমি রিয়াকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ফেলেছি তাই ভুলতে পারবনা ………
।
নাজমুল – কিন্তু রিয়াত রাসেলেন প্রেমে অন্ধ হয়ে আছে . রাসেল যে ওর ক্ষতি চাই সেটাত বুঝতেই চাইছেনা ………..
।
আমি – জানিনা ভাই . আমি শুধু জানি যে করেই হোক রিয়াকে রাসেলের হাত থেকে বাচাতে হবে …….
।
নাজমুল – তাহলে কি করবি এখন………..?
।
আমি – তুই আমায় একটা সাহায্য করতে পারবি ……….?
।
নাজমুল – হুম বল কি করতে হবে ……….?
।
আমি – আমি না কলেজে না থাকলে তুই রিয়ার খেয়াল রাখবি . …….
।
নাজমুল – ওকে ……….
।
তারপর নাজমুল আমাই সাথে নিয়ে ক্লাসে গেল. ক্লাসে গিয়ে দেখি রিয়া আগে থেকেই ক্লাসে বসে আছে . আমাই দেখে মুখ গুরিয়ে নিল .
তারপর কলেজ ছুটির পর একটু গুরে রাস্তা দিয়ে হাটতে হাটতে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম আর রিয়ার কথা ভাবছিলাম তখনি সামনে যা দেখলাম তাতে আমি পুরো অবাক …………………
.
.
কেমন হয়েছে কমেন্ট করে জানাবেন প্লিজ.....
.
wait for next part ............
Comments
Post a Comment