অবহেলিত ভালোবাসা পর্বঃ 04
# অবহেলিত ভালোবাসা #
পর্বঃ 04
%লেখক : রুবেল%
ক্যালেন্ট এর
সাথে মিটিং শেষ করে সন্ধায় বাসায় ফিরে দেখি সবাই
মন খারাপ করে
বসে আছে …….
আমি -- আব্বু কি
হয়ছে ………..?
আব্বু --
(নিশ:চুপ)
আমি -- আম্মু কি
হয়ছে বলবে কি …….. (রাগী
গলায়)
আম্মু -- মারিয়া
একটু আগে মাথা গুরে পড়ে গেছে …… (কান্না ভেজা গলায় বলল)
আমি -- কি …….
এখন কোথায়
মারিয়া …?
আব্বু -- ঘরে
ডাক্তার দেখছে মারিয়াকে …
…
একটু পর ডাক্তার
এসে বলল
ডাক্তার --
অভিনন্দন রুবেল তুমি বাবা হতে চলেছ……..
আমি -- সত্যি
আংকেল ……..!(নিজের
কানকেও বিশ্বাস করতে পারছি না)
ডাক্তার --
হ্যাঁ বাবা …..
.
বাবা – মা ডাক্তারকে মিষ্টি মুখ করাতে ব্যাস্ত
.
আমি মারিয়ার
কাছে যাওয়ার জন্য রুমের সামনে আসতেয় দেখি .
দরজা বন্ধ করা ……
আমি – মারিয়া দরজা খুলো……
জুয়েল – ভাইয়া 1000 টাকা না দিলে আজ দরজা খুলবো না……..
(জুয়েল আমার ছোট
ভাই এত দিন দেশের বাহিরে ছিল , আজ দেশে এসেছে)
আমি – জুয়েল তুই কখন আসলি ………?
জুয়েল--বিকেলে আসছি
এখন টাকা দাও …
আমি –- এই নে ……….
(উপায় না পেয়ে
টাকা দিয়ে দিলাম তারপর দরজা খুলল শয়তানটা )
তারপর আমি ভিতরে
ঢুকে দেখি মারিয়া খাটে মন খারাপ করে বসে আছে
এটা দেখে অবাক
হলাম , আমি মারিয়ার
কাছে গেলাম আর জুয়েল ঘরের দরজা লাগিয়ে চলে গেল.
আমি মারিয়ার
পাশে বসলাম . মারিয়ার হাতটা ধরতে যাব তখনি ………
মারিয়া –
খবরদার তুই আমার
শরীরে হাত দিবি না ….
আমি – কি বলছ তুমি . তোমার মাথা ঠিক আছে …?
মারিয় – আগে ঠিক ছিলনা . এখন ঠিক আছে …..
আমি – কি হয়ছে বলল আমায় (মারিয়ার হাত ধরে )
মারিয়া –
হাত ছার আমার ……..(
হাত ছারানোর
চেষ্টা করছে )
আমি – না ছারবো না . আমার বউয়ের হাত আমি ধরছি
তাতে তোমার কি ………..?
হঠাং ঠাসসসসস্
(মারিয়া আমায় চর মারলো )
আমি অবাক চোখে
তার দিকে তাকিয়ে রইলাম (আমি কখনো ভাবিনি মারিয়া আমায় মারবে)
মারিয়া –
তকে কি বলছি বুঝতে
পারিসনি ……. আর
কখনো যদি আমার কাছে আসার চেষ্টা করিস বা টাচ করিস তাহলে অমার থেকে খারাপ কেউ হবে
না ……..
আমি আজ নিজের
কানকেও বিশ্বাস করতে পারছি না .
যাকে নিজের থেকে
বেশি ভালোবাসলাম সে আমার সাথে
এরকম আচরন করবে
আশা করিনি .
কেন জানি আজ খুব
কষ্ট হচ্ছে . না চাইতেয় চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে .
তাই বাড়ির
বাহিরে চলে আসলাম .
রাত 10 টায় বাড়ি ফিরলাম .
কলিংবেল বাজাতেয়
আম্মু দরজা খুলে দিল .
আম্মু – এতখন কোথায় ছিলি …..?
আমি – এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়ে ছিলাম .
আম্মুকে মিথ্যা
বলে ঘরে চলে আসলাম .
এসে দেখি মারিয়া
ঘুমিয়ে পড়েছে .
আমি খাটে ঘুমাতে
যাব তখনি …….
মারিয়া –
তুই খাটে ঘুমাতে
পারবিনা……..
আমি – কেন ………….?
মারিয়া –
আমি বলছি তায়…
আমি – কিন্তু কেন…….
মারিয়া –
আমি চরিত্রহীন
লোকের সাথে এক খাটে থাকতে পারব না ….
আমি – ঠাসসস্ . আমি চরিত্রহীন . কি করছি আমি ………?
(রাগি গলায়
বললাম)
মারিয়া –
সময় হলে জানতে
পারবি …….
আমি আর কিছু না
বলে একটা বালিশ নিয়ে সোফায় শুয়ে পরলাম .
মারিয়া যেহেতু
চায়না তার কাছে যায় , ঠিক আছে আর যাবনা তার কাছে .
তবে এর জন্য
একদিন তুমায় পস্তাতে হবে মারিয়া . এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম .
সকালে ঘুম থেকে
ওঠে দেখি মারিয়া ঘরে নেয় . আমি ফ্রেস হয়ে নিচে গেলাম .
খাবার টেবিলে
বসলাম . মারিয়া সবায়কে খাবার ভেরে দিল . আমাকে দেওয়ার সময় বলল
মারিয়া –
আম্মু এখন তুমি
একটু ভেরে দাও , আমার
খুব খুদা লাগছে ……
আম্মু – ঠিক আছে তুই বসে পর , আমি দিতাছি.
.
আমি বুঝতে
পারলাম মারিয়া আমাকে ভাত দিতে চাচ্ছে না তায় ওঠে পরলাম .
তখনি……….
আম্মু – কি হল ওঠে পরলি কেন ?
আমি – আমার খুদা নায় , আমি অফিসে গেলাম .
তারপর অফিসে চলে
আসলাম …
এবাবেয় চলছিল
দিনগুলো . এখন আর মারিয়া আমার সাথে বেশি কথা বলে না .
হঠাং একদিন……………………………
Comments
Post a Comment