অবহেলিত ভালোবাসা পর্বঃ -05
# অবহেলিত ভালোবাসা #
পর্বঃ -05
%লেখক : রুবেল%
এখন আর মারিয়া আমার সাথে বেশি কথা বলেনা।
তাই আমিও জোর করি না , মাঝে মাঝে ভাবি কি এমন করলাম যার জন্য
মারিয়া আমার সাথে এমন করল । আমি তো শুধু ওকে মন থেকে ভালোবেসেছিলাম । অনেকবার কারণ জানতে চাইছি .... মারিয়া কিছু বলত না ওলটো আরও অপমান করত ......
হঠাং একদিন অফিসে যাচ্ছিলাম রাস্তায় এক বন্ধুর সাথে দেখা হল......
আমি – নাজমুল তুই এখানে রাস্তায় কেন .....? আর এই মেয়েটি কে.....?
নাজমুল – আরে রুবেল তুই । কেমন আছিস ....?
আমি – ভালো । তুই ....?
নাজমুল – ভালো । চিনতে পারলিনা এ সিমি তোর ভাবী । আর সিমি এ রুবেল তোমাকে যার কথা বলি .....
সাম্মি – ভাইয়া কেমন আছেন .....?
আমি – ভালো , আপনি কেমন আছেন .....?
সাম্মি – ভালো ভাইয়া ।
নাজমুল – রুবেল তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে .....?
আমি – ওকে সব শুনব । চল ওই সামনের হোটেলে বসি ।
ওদের নিয়া হোটেলে গিয়ে বসলাম ....
আমি – নাজমুল বল কি বলবি ......?
নাজমুল – আমার তোর সাহায্য লাগবে । আসলে আমাদের বিয়ে , আমাদের পরিবার থেকে মেনে নেইনি । তাই আমরা পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম । কিন্তিু এখন আমার চাকরিটা চলে গেছে তাই তুই যদি কিছু টাকা দার দিতি তাহলে ভালো হত । আসলে তোর ভাবী পেগনেন্ট .....
আমি – আরে এতে হতাশ হবার কি আছ , তোদের সাহায্য করতে পারলে আমার ভালো লাগবে । তবে আমার দুইটা শর্ত আছে ......
নাজমুল – কি বলল আমি তোর সব শর্তে রাজি ।
আমি – প্রথম শর্ত আমি যেহেতু তোকে বন্ধু হিসেবে টাকা দিব তাই আমি টাকা পরে ফেরত নিতে পারবনা । দ্বিতীয় শর্ত তুই যতদিন না চাকরি পাচ্ছিস ততদিন তোদের দায়িত্ব আমার রাজি থাকলে বল........
সত্যি তোর মত বন্ধু পাওয়া ভাগের ব্যাপার (নাজমুল আমায় জরিয়ে দরে বলল)
ভাইয়া আপনার মনটা অনেক বড় , আজ থেকে আপনি আমার ভাই (সাম্মি চোখের পানি মুছতে মুছতে বলল)
আমি – ভাইয়া যেহেতু ডাকলে তাহলে আপনি বলে পর কেন করছ,,,,,
সাম্মি – ভাইয়া আমাকে একটা সাহায্য করবে ......?
আমি – হুম বল । আমার বোনকে আমি সাহায্য না করলে কে করবে শুনি.......
সাম্মি – আসলে ভাইয়া আজকে আমাকে একটু ডাক্তারের কাছে যেতে হবে । নাজমুলের শরীরটা খারাপ তাই তুমি যদি যেতে আমার সাথে তাহলে ভালো হত ....
নাজমুল – তোর কি কাজ আছে .....?
আমি – আমার বোন যেহেতু বলেছে তাহলে আমার কাজ থাকলেও যেতে হবে ....
সাম্মি – ধন্যবাদ ভাইয়া।
তারপর নাজমলকে বাসায় পাঠিয়ে আমি সাম্মিকে নিয়ে ডাক্তার এর কাছে গেলাম ।
ডাক্তার চেক করে বলল বাচ্চা ভালো আছে । আর কিছু ওষুধ দিল । সেগুলো নিয়ে সাম্মিকে বাসায় দিয়ে । আমি বাসায় চলে আসলাম । বাসায় আসতেই ........
আব্বু – কোথায় গিয়েছিলে .......?
আমি – এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে .....
মারিয়া – দেখছো আব্বু তোমার চরিত্রহীন ছেলে মিথ্যা বলাও শিখে গেছে .......
আব্বু – হুম তাইতো দেখছি । রুবেল তুই এমন একটা কাজ করবি ভাবতে পারিনি . তোকে আমার ছেলে বলতে ঘৃণা হচ্ছে ।
আমি – কিন্তু আমি কি করছি ......?
আম্মু – তুই জানিস না কি করছিস । তোর আরও একটা বউ আছে আর সে পেগনেন্ট আমরা আজ নিজের চোখে দেখে আসছি . মারিয়া আমাদের আগেয় বলছিল কিন্তু আমরা বিশ্বাস করিনি । আজ বুঝতে পারলাম মারিয়া যা যা বলছে তা সব সত্যি । আজ তোকে আমার সন্তান বলতে ঘৃণা হচ্ছে ।
আমি – আম্মু তুমি ভুল বুঝছ ..
আব্বু – আমরা তোমার কোন কথা শুনতে চাইনা ।
মারিয়া – আব্বু তোমার ছেলে যে আমার জীবনটা নষ্ট করল তার কোনো শাস্তি পাবে না .......?
আব্বু – হুম ওকে আমি শাস্তি দিব ........
এই বলে আব্বু একটা লাটি নিয়া আসলো .....
আমি কিছু বলতে যাব তার আগেই মারা শুরু করল ......
আমি অনেক বুঝাতে চাইলাম কিন্তু কেউ আমার কথা শুনলো না
মারের আঘাত সহ্য না করতে পেরে আমি নিচে শুয়ে পড়লাম । আমার সারা শরীর দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে । তখন
মাজেদা চাচী বলল – বাবু ছেলেটাকে আর মারবেন না । নইত ছেলেটা মরে যাবে .(আব্বুর পা ধরে বলল , মাজেদা চাচী আমাদের কাজের লোক , তার স্বামীও আমাদের বাড়িতেই কাজ করে )
চাচীর কথায় বাবা না মেরে সে তার রুমে চলে গেল .
বাবার পিছে পিছে সবাই যার যার রুমে চলে গেল . হঠাং আমার চোখ বন্ধ হয়ে গেল । তারপর আর কিছু মনে নেয় । যখন চোখ খুললাম । তখন দেখলাম আমি হাসপাতালে আর আমার পাশে চাচা – চাচী দাড়িয়ে চোখের পানি মুচ্ছে । আমাকে দেখে চাচী বলল – কেমন আছ বাবা ?
আমি – ভালো চাচী , বাড়ির কেও আসেনি ?
চাচা- না বাবা । আজ 3 দিন পর তুমি চোখ খুলে তাকালে গত 3দিনে কেও তোমায় দেখতে আসনি বাবা.....
আমি – ও । তোমরা এখন বাসায় যাও , দেখেত মনে হচ্ছে কিছু খাওনি ।
তারপর তাদের জোর করে বাড়ী পাড়ালাম .....
তারা বাসা থেকে এসে যা বলল .................
nice
ReplyDelete