অবহেলিত ভালোবাসা পর্বঃ -06
# অবহেলিত ভালোবাসা #
পর্বঃ -06
%লেখক : রুবেল%
আমি – ও । তোমরা এখন বাসায় যাও , দেখেত মনে হচ্ছে কিছু খাওনি ।
তারপর তাদের জোর করে বাড়ী পাড়ালাম .....
তারা বাসা থেকে এসে যা বলল .................
।
আমি – চাচী কি হয়ছে তোমরা কান্না করছ কেন......?
।
চাচী – নিশ্ব:চুপ.... (কান্না করেই যাচ্ছে)
।
আমি – কি হল বলল প্লিজ ......
।
চাচী – বাবা ......
।
আমি – হুম বলল....
।
চাচী – মারিয়া মা তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য হাসপাতাল যাচ্ছে ......
আমি – কি বলছ চাচী......!
।
(নিজের অজান্তেয় চোখ দিয়া পানি পরছে আমার , হাতের স্যালাইনের লাইন টান দিয়া খুলে বিছানা থেকে ওঠে পরলাম )
।
চাচী – কি করছ বাবা , তুমি এখন অসুস্থ ।
।
আমি – চাচী আমায় আটকিও না । আমায় যেতেই হবে ।
চাচী আমাকে অনেক আটকানোর চেষ্টা করল , আমি ওই অবস্থায় বাড়ির দিকে যেতে লাগলাম , আমার হাতে আর মাথায় ব্যান্ডেজ লাগানো.
20 মিনিট পরে বাড়ির দরজায় দারালাম । আমার হাত পা কাপতে লাগলো তখনি দেখলাম মারিয়া আর বাবা মা ডাক্তারারের কাছে যাওয়ার জন্য বের হচ্ছে । আমি মারিয়ার সামনে দাড়ালাম .......
।
আমি – মারিয়া প্লিজ আমার জন্য আমার সন্তানকে শাস্তি দিয় না .....? (কান্না করে)
।
মারিয়া – আমি কোনো চরিত্রহীন জানোয়ারের সন্তানকে আমার গর্ভে ধারন করতে চাইনা , তাছাড়া আমি চাইনা আমার সন্তান তোর মত চরিত্রহীন জানোয়ার হক । তাই ওকে আমার পেটেয় মেরে ফেলব ।
।
আমি – মা , বাবা তোমরা একটু মারিয়াকে বোঝাও না প্লিজ , আমার সন্তানকে এত বড় শাস্তি দিয় না তোমরা....(কান্না করে)
।
বাবা- এতে আমাদের কিছু করার নাই । তাছাড়া আমরাও চাইনা তোর মত চরিত্রহীন এর জন্য মারিয়ার জীবনটা নষ্ট হক , এই বাচ্চাটা না থাকলে মারিয়া আবার নতুন করে নিজের জীবনটা গুছিয়ে নিতে পারবে . তাই আমরা মারিয়ার এই সিদ্ধান্তে তার পাশে আছি।
।
আমি – মারিয়া প্লিজ এমন করনা । আমি তোমায় কথা দিচ্ছি আমার সন্তান এই দুনিয়ায় আসলেয় আমি আর আমার সন্তান তোমাদের জীবন থেকে অনেক দুরে চলে যাব । কখনো কোনো দাবি নিযে তোমাদের কাছে আসবনা তবু আমার সন্তানকে এই দুনিয়ার আলো দেখতে দেও প্লিজ ..... (মারয়ার পা ধরে কান্না করে বললাম )
।
মারিয়া – না আমি এই সন্তানকে কোনো ভাবেই এই দুনিয়াতে আসতে দিব না । চল আব্বু আমাদের দেরি হচ্ছে... (আমাকে লাথি মেরে)
.
.
তারপর মারিয়া আমাকে লাথি মেরে বাবা – মাকে নিয়ে চলে গেল আমি সেখানেই বসে চোখের পানি ফেলছি । আজ নিজেকে খুব অসহায় লাগছে , যাকে এত ভালোবাসলাম সে আমার সাথে এমন করবে সপ্নেও ভাবতে পারিনি । বাবা মাও আজ আমাকে বুঝলো না । তারাও মুখ ফিরিয়ে নিল আমার থেকে । আজ আমি কোনো দুষ না করেও দুষি । আমার জন্য আমার নিশ্বপাপ সন্তান শাস্তি পাচ্ছে।
কিছুখন পর চাচা –চাচী এসে আমাকে ঘরে নিয়ে গেল । অনেকখন ঘরে বসে চোখের পানি ফেললাম হঠাং চাচী আসল........
।
চাচী – বাবা , আর কেদ না আল্লাহ তোমার কথা শুনছে .....
।
আমি – কি বলছ , আমার ত সব শেষ .......
।
চাচী – না বাবা মারিয়া বাচ্চাটা নষ্ট করতে পারেনি .....
।
আমি – কি বলছ চাচী , সত্যি.......!
।
চাচী – হ্যাঁ বাবা, ডাক্তার নাকি বলছে এখন আর বাচ্চা নষ্ট করা যাবে না । তাই তারা চলে আসছে ।
।
চাচীর কথায় কিছুটা শান্তি পেলাম ....
সারাদিন ঘরেই থাকলাম আর বের হলাম না কিছু খেলামও না । রাতে খুব খুদা লাগছে তাই ডাইনিং টেবিলের দিকে গেলাম . দিয়ে দেখি সবাই খেতে বসেছে,
আমি গিয়ে একটা চেয়ারে বসলাম তখনি...
।
আব্বু – এ কি তুমি এখানে কেন ......?
।
আমি – আম্মু খেতে দাও খুব খুদা লাগছে ..
।
আব্বু – আমি কোনো চরিত্রতীন লোকের খাবার ভার নিতে পারবো না । কাল থেকে এবাড়িতে তোমার খাবার বন্ধ । আজকেয় জেন তোমার শেষ খাওয়া হয় । কথাটা মনে রেখ ।
।
মারিয়া – আমি ওর সাথে এক টেবিলে খেতে পারব না .. (বলেই চলে যাচ্ছিল)
।
আমি – আমার জন্য আপনাকে না খেয়ে যেতে হবে না , আমি চলে যাচ্ছি (বলেই চলে আসতে লাগলাম )
।
আজ আব্বুর কথায় কেন যানিনা খুব কষ্ট হচ্ছিল । নিজেকে অনাথ মনে হচ্ছিল। তারপর ভাবলাম তারা যেহেতু চাই না আমি তাদের সাথে সম্পর্ক রাখি , ত ঠিক আছে আমি আর তাদের সামনে যাবনা ।
মারিয়ার ঘর থেকে আমার সবকিছু নিয়ে অন্য রুমে রাখলাম আর ভাবলাম আমার সন্তান এই দুনিয়ায় আসলেই তাকে নিয়ে অনেক দুরে চলে যাব । ততদিন এই বাড়িতেই থাকবো ,চলে যাবার সময় বাড়ি ভাড়া দিয়ে যাব ......
কিছুখন পর চাচী আসল হাতে খাবারের থালা নিয়ে ....
।
চাচী – বাবা রুবেল খাবারটা খেয়ে নেও ......
।
আমি – চাচী আমার খিদে নাই ...
।
চাচী – আমিতো কেও না আমি দিলে খাবে কেন থাক খেতে হবে না ... মন খারাপ করে চলে যাচ্ছিল
।
আমি – চাচী আজ থেকে তোমরাই আমার মা বাবা । (চাচীর সামনে গিয়ে বলেই জরিয়ে ধরলাম )
।
তারপর চাচী নিজ হাতে আমায় খাওয়ালো ।
খাওয়ার পর ফোনটা বেজে ওঠলো .....
।
আমি – হালো
।
অফিসের ম্যাডাম – হালো রুবেল সাহেব কালকি একটু অফিসে আসতে পারবেন ?
।
আমি – ওকে ম্যাডাম
।
পরের দিন অফিসে গিয়ে আমি অবাক ..............
Comments
Post a Comment