অবহেলিত ভালোবাসা পর্বঃ -08
# অবহেলিত ভালোবাসা #
পর্বঃ -08
%লেখক : রুবেল%
এদিকে আমি ট্রেনে বসে আছি হঠাং একটা মেয়ে এসে পাসে বসল আর বলল………….
।
অচেনা মেয়ে – আমি তুলি , আপনার নাম কি ..?
।
আমার নাম – রুবেল…..
।
অচেনা মেয়ে – বাচ্চাটা কান্না করছে ওর মা কোথায় …….?
।
আমি – ওর মা নেই …………….
।
তুলি – ওর মাকি মারা গেছে ………?
।
আমি – না …..
।
তুলি – তাহলে ……..?
।
তারপর আমি তুলিকে সব বলাম ‘সব শুনে বলল……………
তুলি – তাহলে এখন কোথায় যাবেন … ? আর কোথায় থাকবেন ……..?
।
আমি – যাব সিলেট এ ওখানে কোনো কাজ খুজে নিয়ে সেখানেই থাকব আমার ছেলেকে নিয়ে……..
।
তুলি – কিছু মনে না্ করলে আপনি আমার সিলেরটর কোমপানিতে জয়েন করতে পারেন ……
।
আমি – তাহলে তো ভালোই হয় .
তারপর সিলেট এ গিয়ে তুলির কোমপানিতে জয়েন করি আর রাজু মানে আমার ছেলের জন্য একটা লোক রাখি… আমি অফিসে যাওয়ার পর তাকে দেখাশোনা করার জন্য ……..
এবাভেই চলছিল আমাদের বাবা – ছেলের দিনগুলো , সময়ের সাথে আমার ছেলেও বড় হতে শুরু করল , এবাভেই কেটে গেল পাঁচ বছর ……………
।
একদিন সকালে …….
রাজু – আব্বু আব্বু………
।
আমি – হুম আব্বু বলল…
।
রাজু – আমার আম্মু কোথায় .. আমার স্কুলের সবার আম্মু আছে ,আমার কেন নেই……………?
।
আমি – তোমারও আম্মু আছে , সে আমাদের সাথে থাকতে চাইনা ………
।
রাজু – আম্মু কেন আমাদের সাথে থাকতে চাইনা .. আম্মু আমাকে ভালোবাসে না …………?
।
আমি – তোমার আম্মু আমাদের ঘৃণা করে ………
।
রাজু – কেন আব্বু ………..?
।
আমি – তোমার আব্বু ভালো না তাই
।
রাজু – আব্বু আমি আম্মুর কাছে যাব , আমায় নিয়ে যাও …. আমি আমার আম্মুকে দেখবো …..
।
আমি – এ্খন না বাবা পরে একদিন নিয়ে যাব ………
।
রাজু – আমায় আম্মুর কাছে না নিয়ে গেলে ,আমি খাবনা আর তোমার সাথে কথাও বলব না………. বলেই ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল .
।
তারপর অনেকবার ডাকলাম কিন্তু দরজা খুলল না . তারপর আমি রাগ করে না খেয়ে অফিসে চলে আসলাম , আসলে আমার ছেলে আমার মতই হইছে যা চাইবে তাই দিতে হবে নয়লে তাকে সামলানো যায় না,
।
দুপুরে বাসা থেকে কল আসল ….
মুরশেদা কাকী – বাবা রাজু না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে . তুমি তাড়াতাড়ি বাড়ি আস … (মুরশেদা কাকী রাজুর দেখাশোনা করে)
।
তখনি বাসায় গেলাম গিয়ে দেখি ডাক্তার দেখছে …
আমি – আংকেল কেমন দেখলেন …………….?
।
ডাক্তার – তেমন কিছু হয়নি , না খাওয়ার জন্য এরকম হয়ছে . একটু খেয়াল রেখ রাজুর দিকে …..
।
আমি – ওকে …….
।
তারপর আমি রাজুর কাছে গেলাম …..
।
আমি – আমার আব্বুর কি হয়ছে …. ?
।
রাজু – আব্বু আমি আম্মুকে দেখবো ……….(কেদে কেদে)
।
আমি – শুধু দেখতে পারবে যদি তোমার আম্মুর কাছে যাও তাহলে আমি তোমায় ছেড়ে অনেক দুরে চলে যাব……
।
রাজু – না তুমি আমায় ছেড়ে কোথাও যাবে না . আমি তোমার সব কথা শুনব …..
।
আমি – আচ্ছা এখন রেড়ি হও আমরা বের হব ……..
।
রাজু – উম্মমমমমমমমমমা , আমার ভালো আব্বু ……
।
তারপর রাজুকে নিয়ে ঢাকা রেলওয়ে ষ্টেশনে আসলাম . সেখান থেকে বাড়ি আসলাম . এখন সেই চিনা বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছি ……
তখনি………
রাজু – আব্বু এটা কার বাড়ি ……………?
।
আমি – এটা আমার বাড়ি ……
।
রাজু – তুমি দাড়াও আমি আসছি …
।
তারপর রাজু গিয়ে কলিংবেল বাজাতেই আম্মু দরজা খুলল ….
আম্মু – কে তুমি …… ? এখানে কার কাছে এসেছ ………?
।
রাজু – আমার নাম রাজু , এটা আমার আব্বুর বাড়ি ………..
।
আম্মু – তোমার আব্বুর নাম কি আর সে কোথায় …………?
।
রাজু – আমার আব্বুর নাম রুবেল …….
।
আমার নাম শুনতেই আম্মু কাদতে শুরু করল ওদিকে আমার নাম শুনে বাবা আসল …….
বাবা – কোথায় আমার ছেলে কোথায়………………?
।
রাজু – আব্বু ও আব্বু …..
।
আমি – কি বাবা …. সামনে তাকাতেই আমি অবাক ………………………..(মা বাবা আমাকে দেখে করুন ভাবে তাকিয়ে আছে তাদের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে . এটা দুখের পানি না দামি কিচু ফিরে পাওয়ার পানি)
।
বাবা – কেমন আছিস বাবা ………….?(জরিয়ে দরে )
।
আমি – আপনি ভুল করছেন . আমি কারো বাবা না ….
।
আম্মু – আমাদের এখনো মাফ করবি না ……
।
আমি – আমি মাফ করার কেও না , আমি এখানে আসতাম না , শুধু আমার ছেলের জন্য এসেছি … আমরা কিছু দিন থাকব তারপর আবার আমরা চলে যাব ………
।
বাবা – এটা আমাদের শেই ছোট দাদুভাই …..
।
আমি – হুম এটাই আমার ছেলে রাজু …….
।
তারপর বাবা আর মা রাজুকে জরিয়ে দরে আদর করতে থাকে ………
রাজু – আব্বু এরা কে ……..
।
তখনি মারিয়া কোথা থেকে যেন আসল …………
মারিয়া – এরা তোমার দাদা – দাদি আব্বু ……
।
রাজু – ওনি কে আব্বু ……….( মারিয়াকে দেখিয়ে )
।
আমি – তুমি যাকে দেখতে চাইছিলে ওনিই সে …….
।
রাজু – ওনি আমার আম্মু ………..
।
আমি – হুম …………
।
রাজু – আব্বু আমি আম্মুর কাছে যায় ……………?
।
আমি – না তুমি দেখতে চেয়ছ তাই এনেছি .. কিন্তু তুমি তার কাছে যেতে পারবে না.
।
মারিয়া – প্লিজ রুবেল আমার ছেলেকে আমার কাছে আসতে দাও প্লিজ ………
।
আমি – আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে রাজু শুধু আমার ছেলে , আপনার না , মনে নেই আপনি আমার ছেলেকে আপনার গর্ভেই মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন . ওর জীবন বাচানোর জন্য আপনার পায়ে ধরেছিলাম কিন্তু আপনি আমার কথা শুনেননি , এখন কোন অধিকারে ওকে নিজের ছেলে বলেন লজ্জা করে না ……
।
মারিয়া – রুবেল আমাকে মাফ করে দেও ,আমার অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে , এই পাঁচ বছর তোমাদের অনেক খুজেছি কোথাও পায়নি……………………… ( পা জরিয়ে দরে কান্না করে বলল)
।
আমি – আমি আর আমার ছেলে কিছু দিন থাকবো যদি আপনাদের সমস্যা থাকে তাহলে বলেন আমরা চলে যাব…… (পা সরিয়ে বললাম)
।
মা বাবা – তোর যতদিন থাক বাবা , এটাতো তোর বাড়ি . তুই শুধু আমাদের মাফ করে দে ,
।
আমি – প্লিজ আমাদের বিরক্ত না করলে খুশি হব , বলেই রাজুকে নিয়ে আমার ঘরের দিকে যেতে লাগলাম …….
তখনি………
Comments
Post a Comment