%ম্যাডামের প্রেমে যখন স্টুডেন্ট% Part -05

 

%ম্যাডামের প্রেমে যখন স্টুডেন্ট%

(Part -05)

 $ লেখক : রুবেল $

কাগজটা পড়া শেষ হতেই ……

শিলা - ঠাসসস্ ঠামমমম্ ঠাসসসস্ ঠাসসসস্……….. (কলজের সবার সামনে )

আমি – তুমি আমায় মারলে কেন……….. (অবাক হয়ে )

শিলা – তোমার মতো চরিত্রহীন লুচ্চাকে আমি ভালোবাসছি , এটা ভেবেই আমার ঘৃণা হচ্ছে ……(.কেদে কেদে)

আমি – কিন্তু আমি কি করেছি সেটাতো বলবে …………?  (গালে হাত দিয়ে )

শিলা – তুমি আর আমার সাথে কোনো যোগাযোগ রাখবা না . আর কখন আমার সামনে আসবেনা ………

(কথাটা বলেই চলে যাচ্ছিল তাই আমি শিলার হাত ধরলাম আর তখনি …)

শিলা – ঠাসসসস্ ঠাসসসস্ , এই কুক্তা , জানোয়ার , ছোট লোকের বাচ্চা তোর সাহস হয় কি করে আমার হাত ধরার … (রাগে চোখ লাল করে )

(গালে হাত দিতেই  হঠাং ঠোটে ব্যাথা অনুভব করলাম , ঠোটে হাত দিতেই দেখি ঠোট ফেটে রক্ত বের হচ্ছে)

তখনি কিছু ছাত্র আসল……

ছাত্ররা – ম্যাডাম কি হয়ছে ……?

শিলা – এই ছেলেটা আমায় ডিস্টাব করছে ……..(রাগি গলাই )

আমি – নিশ্ব:চুপ ………….( ভাবতেই পারছিনা শিলা আমার সাথে এমন করছে তাই শুধু চোখের পানি ফেলছি )

আমি কিছু বলতে যাব তার আগেই ছেলেগুলো আমায় মারতে শুরু করল মার খেতে খেতে একসময় অঙ্গান হয়ে গেলাম যখন চোখ খুললাম তখন বিকেল হয়ে গেছে , মারের কারনে সারা শরীর ব্যাথা করছে . ঠিকমত দাড়াতে পারছি না , তাও অনেক কষ্টে বাসায় আসলাম দরজায় দাড়িয়ে অনেক কষ্টে কলিংবেল বাজালাম . তারপর দরজা খুলতেই আম্মু দেখেই ঠাসসস্ ঠাসসস্ করে চড় মারল শরীল দুর্বল থাকাই আর নিজেকে সামলাতে না পেরে মাটিতে পরে গেলাম . মাটিতে পরতেই অঙ্গান হয়ে গেলাম . যখন ঙ্গান ফিরল দেখলাম আমি আমার রুমে পাশে ডাক্তার চাচা বসে আছে . আমাকে দেখেই বলল …..

ডাক্তার চাচা – তোমার এই অবস্থা হল কি করে ……?

আমি – চাচা মারামারি করতে গিয়ে লেগে গেছে ….

তারপর ডাক্তার চাচা ওষুধ লিখে দিয়ে চলে গেল . মা চলে যাচ্ছিল তখনি …..

আমি – আম্মু ………

আম্মু – তুই আমাই আম্মু বলবি না , আমি কোনো চরিত্রহীন , প্রতারক ছেলের মা না . আমার ঘৃণা হচ্ছে তোকে ছেলে বলতে , আজ থেকে আমার কাছে তুই মৃত ,( কান্না করে)

আমি কিছু বলার আগেই আম্মু চলে গেল , আমার কেমন জানি নিজেকে একা মনে হচ্ছে , কিছু না করেও আজ সবার অবহেলার পাত্র এখন আমি .আর এই দিকে শিলা আমাকে কিছু না বলেই তাদের বাসায় চলে গেছে . আচ্ছা চিটিটাই কি ছিল…? না আমাকে জানতেই হবে ..তার পরের দিন কলেজে গিয়ে শিলার সামনে গিয়ে বললাম ……

আমি – শিলা কাগজে কি এমন ছিল যে তোমরা আমার সাথে এমন করছ ………….?

শিলা – ঠাসসসসসস্ , ম্যাডামের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় , তা তোমার বাবা মা শিখাই নি … (রাগি গলায়)

(এবার আমার খারাপ লাগল ঠোটে হাত দিয়ে দেখি আবার রক্ত পড়ছে ……….)

আমি – SORRY ম্যাডাম আর ভুল হবে না , দয়া করে আমার কাগজটা দেন ……

তারপর শিলা তার ব্যাগ থেকে কাগজটা বের করে আমার মুখে ছুয়ে মারল , আমি কাগজটা নিয়ে বাহিরে এসে পড়লাম . কাগজটা পড়তে শুরু করলাম …..

আমার জান

কেমন আছ তুমি…?

তুমি কি আমাই ভুলে গেছ …?

এখন আর আমার সাথে কথা বলনা অন্য মেয়ের সাথে কথা বলল যা আমায় খুব কষ্ট দেই .

আমি তোমাকে ফেরত পেতে চাই  , তোমায় ভালোবাসতে চাই …

আমি আমার ভুল বুঝতে পারছি প্লিজ আমায় মাফ করে তোমার বুকে টেনে নেও ..

ইতি তোমার ভালোবাসা

রোজি .

চিঠিটা পরে মাথা গরম হয়ে গেল তাই রোজির কাছে গেলাম ..

আমি – রোজি এটা কি ……….. (চিঠিটা দেখিয়ে )

রোজি – ভাইয়া এটা দেননি আপনি এখনো , আমিতো ভাবছি আপনি আপনার বন্ধুকে দিয়েছেন ………

আমি – মানে……….?

রোজি – ভাইয়া পিছনটা একটু পড়ুন …………

তারপর আমি পিছনটা পড়ে অবাক হলাম কারন চিঠিটা আমার জন্য না আমার বন্ধু নাজমুলের জন্য ছিল .

আমি – তার মানে এটা নাজমুলকে দেওয়ার জন্য আমায় দিছ ………..??

রোজি – জ্বী ভাইয়া আসলে আপনি আর নাজমুল ভালো বন্ধুত , আর নাজমুল আপনার কথা শুনে তাই আপনি যদি ওকে একটু বুঝিয়ে বলতেন আমায় মাফ করতে তাহলে হয়ত আমায় মাফ করে দিবে তাই আপনাকে চিঠিটা দেয় ……..?

(আসলে রোজি নাজমুলের প্রেমিকা তাদের মধ্যে সমস্যা হয়ছে আর আমি যাতে নাজমুলকে বুঝায় তাই রোজি আমার হাত দিয়ে চিঠিটা পাঠাতে চাইছে )

আমি – আচ্ছা আমি নাজমুলকে বলব ….

রোজি – ধন্যবাদ ভাইয়া ……..

তারপর আমি শিলাকে ফোন দিলাম ধরল না তারপর তার কাছে গেলাম …..

আমি – শিলা আমার তোমার সাথে কথা আছে ………?

শিলা – আমার তোমার সাথে কোনো কথা নেই , আর যদি আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা কর বা আমার সামনে আস তাহলে আমার মরা মুখ দেখতে হবে……..?

আমি – ঠিক আছে , আর তোমার সামনে আসব না , তোমায় ফোন দিবনা , তোমার সামনেও আসব না … .. (কথাটা বলেয় শিলার সামনে ফোন ছুড়ে ভেগে ফেললাম )

তারপর বাড়ি চলে আসলাম আম্মুর কাছে গেলাম ….

আমি – আম্মু আমি তোমার সাথে কথা বলতে চাই……?

আম্মু – আমি কোনো চরিত্রহীন এর সাথে কথা বলতে চাইনা …

আমি – ঠিক আছে বলতে হবে না , তোমাদের কাউকে লাগবেনা আমার , তোমাই সত্যিটা বলতে আসছিলাম কিন্তু তুমি শুনতে চাও না , একদিন বুঝবে হয়তো তখন কিছু করার থাকবেনা … (কান্না করতে করতে বললাম )

এভাবে কাটছিল আমার দিনগুলো এখন আর শিলার সাথে কথা বলিনা . এমনকি আম্মুর সাথেও না ,এখন কলেজে গেলেও শিলার সামনে যায়না . শিলার ক্লাসও করি না …

একদিন নাজমুল ফোন দিয়ে যা বলল তাতে আমি অবাক ……………

.

.

.

Wait for next part …………..

Comments

Popular posts from this blog

অবহেলার শেষ পরিণতি পর্ব - 05

অবহেলার শেষ পরিণতি পর্ব - 06

অবহেলার শেষ পরিণতি পর্ব - 04