%ম্যাডামের প্রেমে যখন স্টুডেন্ট% Part -06
%ম্যাডামের প্রেমে যখন স্টুডেন্ট%
(Part -06)
$ লেখক : রুবেল $
একদিন নাজমুল ফোন দিয়ে যা বলল তাতে আমি অবাক ……………
নাজমুল – হালো …..
।
আমি – হ্যা নাজমুল বলল……
।
নাজমুল – ভাই একটা খারাপ খবর আছে ……?
।
আমি – কি বলল ………..
।
নাজমুল – শিলা ম্যাডামের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে …….
।
আমি – কি…….(কথাটা শুনেই চোখ থেকে পানি বের হয়ে গেল)
।
আমি – হুম ভাই ম্যাডাম তার বাবার পছেন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেছে ……
।
আমি – শিলা নিজেই রাজি হয়ছে এই বিয়েতে ……( কান্না করে করে বললাম)
।
নাজমুল – হুম ভাই , তুই কান্না করিস না নিজেকে সামলা …..
।
(আর কিছু বলতে পারলাম না তাই ফোনটা কেটে ফোন অফ করে দিলাম যাতে কেও ফোন দিতে না পারে , কেন জানিনা বুক ফেটে কান্না পাচ্ছে . অনেক কষ্টে কান্না আটকিয়ে আম্মুর কাছে গেলাম ….)
।
আমি – আম্মু শিলার নাকি সামনে বিয়ে তুমি কিছু জান………(না চাইতেও চোখের পানি গড়িয়ে পড়ল )
।
আম্মু – হুম আমাদের দাওয়াত করেছে , বিশেষ করে তোকে .
।
আমি – ছেলেটা কেমন ………. (কেদে কেদে )
।
আম্মু – যেমনি হক তোর থেকে ভালো কারন সে তোর মত চরিত্রহীন লুচ্চা নই ……
।
আমি – হুম ……( কেদে কেদে )
।
চলে আসতে যাচ্ছিলাম তখনি আবার বললাম ….
।
আমি – আচ্ছা আম্মু আমি যদি তোমাদের ছেড়ে চলে যায় তাহলে তোমার কষ্ট হবে না ………… (কেদে কেদে )
।
আম্মু – জানিনা ……….. কেন …..? (এমন ভাবে বলল আমি তার কেউ না )
আমি – না এমনি বললাম ……. (মিথ্যে হেসে )
।
(তারপর ঘরে দিয়ে অনেকখন কান্না করলাম তারপর ভাবলাম আম্মু আর শিলা যখন চাইনা তাদের জীবনে থাকি আমি , ওকে ঠিক আছে থাকবো না , আমি যে চরিত্রহীন না প্রমাণ করে অনেক দুরে চলে যাব . এসব ভাবতে আর কান্না করতে করতে দিন কেটে গেল .তারপরের দিন নাজমুল আর রোজিকে ডাকলাম .তারা আসল …)
।
আমি – নাজমুল কি হয়ছে তোদের মধ্যে …
।
নাজমুল – কিছুনা ভাই , রোজি আমার থেকে মুক্তি চাইছিল তাই আমিও ওকে মুক্ত করে দিছি….
।
আমি – দেখ নাজমুল রোজি ওর ভূল বুঝতে পারছে তাই তুই ওকে মাফ করে দে ……….
।
নাজমুল – না ভাই এটা সম্ভব না …………
।
আমি – আমার আর শিলার ভালোবাসা ত্যাগের জন্য তুই ওকে মাফ করতে পারবি না ……….(চোখের পানি না চাইতেই বেরিয়ে আসল )
।
নাজমুল – মানে ……….( অবাক হয়ে )
।
তারপর নাজমুল আর রোজিকে সব বললাম . সবশুনে …….
রোজি – ভাইয়া আমি দুখিত আমি বুঝতে পারিনি . আমায় মাফ করে দিন . আমি যদি জানতাম আমার জন্য আপনার এত বড় খতি হবে তাহলে কখনো ওই চিঠিটা আপনাকে দিতাম না . প্লিজ আমায় মাফ করে দিন ……. (কেদে কেদে)
।
নাজমুল – ভাই আমাদের মাফ করে দে , আমাদের জন্য আজ তোর এই অবস্থা . আজ আমাদের জন্য তুই তোর কাছের মানুষকে হারিয়েছিস . …………….(আমার হাত ধরে বলল)
।
আমি – আরে কি বলছিস তোদের জন্য না , আমার কপালে ছিল তাই এরকম হয়ছে , তবে যানিস শিলাকে আর মাকে অনেক বার সত্যিটা বলতে চেয়েছি কিন্তু তারা আমার কথাই শুনতে চাই না . আমার একটা অনুরোধ রাখবি তোরা ………….
।
নাজমুল – বলল তোর জন্য আমরা সব করব , তুই শুধু বলল…………
।
আমি – আমি চাই তোরা দুজন দুজনের পাশে থাক . আর তুই রোজিকে মাফ করে কাছে টেনে নে ………..?
।
নাজমুল – ওকে শুধু তোর জন্য আমি রোজিকে মাফ করে দিলাম ……..
।
রোজি – ভাইয়া আমাদের জন্য আপনার এই ত্যাগ আমরা সারা জীবন মনে রাখব ….
।
আমি – আচ্ছা তোমরা থাক . আমাকে যেতে হবে ……..
।
তারপর আমি তাদের থেকে চলে আসলাম আর ওদিকে নাজমুল আর রোজি কথা বলছে ….
।
নাজমুল – আমাদের রুবেলের জন্য আমাদের কিছু করতে হবে … …
।
রোজি – হুম … আমার মাথায় একটা প্লান আছে …………
।
নাজমুল – কি বলল ……….
।
রোজি – তুমি রুবেল ভাইয়ের মা মানে আন্টিকে বলল সত্যিটা আর আমি শিলা ম্যাডামকে বলব ……
।
নাজমুল – ওকে …..
।
তারপর নাজমুল আমার বাসায় আসল কিন্তু তখন আমি বাসায় ছিলাম না , তারপর নাজমুল আম্মুকে সব বলল , নাজমুলের কথা শুনে আম্মু কাদতে লাগলো ……..
।
নাজমুল – আন্টি কাদছেন কেন ……?
।
আম্মু – আমি কিছু না জেনেই আমার ছেলেকে যা না তাই বলেছি . ও কোথায় তুমি যান বাবা ………… (কেদে কেদে)
।
নাজমুল – না আন্টি…………
।
ওদিকে আমি শিলাদের বাসার পাশে দাড়িয়ে ছিলাম হঠাং দেখলাম রোজি শিলাদের বাড়ি যাচ্ছে ..
আমি –রোজি তুমি কি শিলাদের বাসায় যাবে ……….? ( দাড় করিয়ে )
।
রোজি – হুম ভাইয়া ….
।
আমি – আমার একটা উপকার করবে ……
।
রোজি – হুম বলেন ……..
।
আমি – আমার চিঠিটা তোমার ম্যাডামকে দিবে আর বলবে যাতে সমপূর্ণ পড়ে . সে যতখন পড়বে তুমি তার পাশেই থাকবে আর কিছু বললে সত্যিটা বলে দিবে ………….(চোখের পানি মুছতে মুছতে )
।
রোজি – ওকে ভাইয়া …….
।
রোজিকে চিঠিটা দিলাম তারপর রোজি চিঠিটা নিয়ে শিলার রুমে গেল ……
রোজি – ম্যাডাম আসব ………….?
।
শিলা – আস………
।
রোজি – ম্যাডাম আপনার নাকি বিয়ে ……………?
।
শিলা – হুম ………
।
রোজি – কবে ম্যাডাম …….
।
শিলা – কালকের দিন পরে ….
।
রোজি – একটা অনুরোধ রাখবেন ……….?
।
শিলা – হুম বলল
।
রোজি – দয়া করে এটা সমপর্ণ পড়বেন …….? (চিঠিটা শিলার হাতে দিয়ে )
তারপর শিলা চিঠিটা হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করল ……………
.
.
সমপর্ণ পড়বেন চিঠিটা এটাই আপনার চরিত্রহীন , লুচ্চা ছাত্রর অনুরোধ , আর হ্যা যাই বলি আপনার বিয়ে বাঙ্গার দরকার নেই , এখন মূল কথা বলি …
সেদিন যে চিঠিটার জন্য আমায় চরিত্রহীন আর লুচ্চা বলেছেন সেটা আমার জন্য ছিল না সেটা আমার বন্ধু নাজমুল কে দেওয়ার জন্য রোজি আমার কাছে দিছিল . রোজিকে বলবেন ও সত্যিটা বলবে . আর হা আমি সত্যি বোকা , যে আমায় ভালোয় বাসেনা আমি তারজন্য পাগল ছিলাম , আর কখন আপনাদের জীবনে আসব না . তোবে আপনার বিয়ের দিন আমি আমি একবার যাব , শুধু দেখব আপনাকে বউ সাজে কেমন লাগে, নতুন জীবন শুরু করার জন্য আমার অনেক অভিনন্দন রইল. যাওয়ার আগে একটা কথা বলে যায় আমি চরিত্রহীন , লুচ্চা না . ভালো থাকবেন.
ইতি …
রুবেল
।
তারপর ..শিলা রোজিকে সব বলতে বলল তখন রোজিও সব সত্যি বলল , আর সব শুনে শিলা ধপ করে বসে পড়ল , আর কাদতে লাগল……
।
ওদিকে মা আমার ফোনে বার বার ফোন দিচ্ছিল তাই ফোন বন্ধ করে ফেলাম তখন শিলাও ফোনে চেষ্টা করল কিন্তু পেল না . তখন শিলা রোজিকে বলল – রুবেল কোথায় ……..?
।
রোজি – ভাইয়াকে তো বাইরে দেখছি ………
।
তারপর শিলা বাইরে এসে দেখে আমি নেই …….
এদিকে আমি একা একা রাস্তায় হাটছি …. হাটতে হাটতে একটা বন্ধুর বাসায় গেলাম ..
।
আমি – আমাকে একটা দিন তোদের এখানে থাকতে দিবি ………?
।
বন্ধু – এভাবে বলছিস কেন তোর যত দিন ইচ্ছা থাক তার পর তার ওখানেই থাকলাম ………….
।
পরের দিন…………………………..
গল্গটা কি শেষ করে দিব নাকি আরও বড় করবো আর আপনারা happy ending চান নাকি sad ending চান কমেন্ট করে জানাবেন এখন আপনাদের মত অনুসারে লেখব …………….
.
Wait for next part ………………
Comments
Post a Comment