%ম্যাডামের প্রেমে যখন স্টুডেন্ট% Part -07
%ম্যাডামের প্রেমে যখন স্টুডেন্ট%
(Part -07)
$ লেখক : রুবেল $
পরের দিন সেই বাড়ি থেকে সারাদিন আর বের হলাম না ,আর ফোন ও অন করলাম না. কারণ আমি জানি আম্মু আমায় ফোন দিবে . সারাদিন বাসায় থেকে রাতে গিয়ে শিলার বিয়ের জন্য একটা গিফট কিনলাম. গিফটা কিনে আনার পর শিলার কথাটা মনে পরল .. শিলা বলছিল আমি যনি ওর সামনে যায় তাহলে আমি ওর মরা মুখ দেখব কিন্তু আমি তা দেখতে পারব না , তাই আমি একটা চিঠি লেখলাম ,আর ভাবলাম না আমি ওর সাথে দেখা করব না কিন্তু ওদের বাসায় যাব তারপর দারোওয়ান দিয়ে গিফটা আর আমার লেখা চিঠিটা শিলার কাছে পাঠিয়ে দিয়ে আমি এ দেশ ছেড়ে চলে যাব ………….. এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি নিজেও জানি না . সকালে যখন ওঠলাম তখন দেখি 12 টা বাজে তারপর ওঠে ফ্রেস হয়ে আবার ঘরে গিয়ে শিলার ছবি আর সৃতি গুলো ভাবতে লাগলাম . খুব কান্না করলাম এগুলো ভেবে … . এভাবে দিন কেটে গেল . সন্ধায় বাইক নিয়ে বাহির হলাম শিলাদের বাসার উদ্দেশে ……
কেন জানি আজ খুব কষ্ট হচ্ছে আবার ভালোও লাগছে , কারন যাকে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসি সে আজ অন্যের হয়ে যাচ্ছে তাই খুব কষ্ট হচ্ছে ….. চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছিল , অন্যদিকে আমার মত চরিত্রহীন শিলার জীবন থেকে চলে যাবে এটা ভেবে কিছুটা ভালো লাগছে ….. এসব ভাবছি আর বাইক চালাচ্ছি .. আস্তে আস্তে নিজের প্রতি রাগ আর ঘৃনা হতে লাগল আর সাথে শিলা আর মার প্রতি অভিমান তাই বাইকের স্পিড বাড়াতে লাগলাম …আর এদিকে না চাইতেয় চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছিল ……
একটা সময় চোখে পানি থাকায় ঠিক ভাবে দেখতে পারছিলাম না আর তখনি . . .একটা ট্যাক আমার দিকে আসছে ,আমি কিছু করার আগেই ট্যাকের সাথে accident করে আমি একটা লামপোষ্টের সাথে ধাক্কা খেলাম আর রাস্তার পাশে পড়ে গেলাম , লামপোষ্টের লাইটের কাচ এসে আমার পিঠে ঢুকে গেল সারা শরীর দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে , আর সারা শরীরে শুধু আঘাতের চিন্হ …
অনেক কষ্টে রাস্তার লোকেদের সাহায্যে ওঠে দাড়ালাম …
।
রাস্তার এক লোক – বাবা তোমারতো অনেক রক্ত বের হচ্ছে ………. চল আমি তোমায় হসপিটালে নিয়ে যায় ……
।
আমি – চাচা আমার একটা উপকার করবেন …………? (অনেক কষ্টে বললাম এতটাই আঘাত লাগছে যে আমি ঠিক মত দাড়াতে আর কথা বলতে পারছি না …)
।
রাস্তার এক লোক – হু বলল……….
।
আমি – আমায় একটু কষ্ট করে একটা গাড়ি ডেকে দিন আমার এক যাওয়ার আছে ……. . (অনেক কষ্টে বললাম)
।
রাস্তার এক লোক – কিন্তু বাবা তোমায় এখন হসপিটালে না নিলে তোমার অনেক বড় খতি হতে পারে ……..
।
আমি – আমার জীবনের দিকে যাওয়াটা বেশি দরকার একটু বোঝার চেষ্টা করেন ………….(অনেক কষ্টে বললাম)
।
রাস্তার এক লোক – ঠিক আছে . বাবা তবে নিজের খেয়াল রেখ …….
।
তারপর আমার নেওয়া গিফটা নিয়ে কোনো রকমে অন্য একজনের বাইকে ওঠলাম আর চাচার থেকে তার চাদরটাও নিলাম শরীর ডাকার জন্য কারন সারা শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে ……….
অন্যদিকে শিলার বাসায় …….
শিলা – বাবা আমি তোমায় কিছু বলতে চাই ……….
।
শিলার বাবা – হুম মা বলল ……….
।
শিলা – বাবা আমি এই বিয়ে করতে পারব না . আমায় মাফ করে দাও … (কেদে কেদে)
।
শিলার বাবা – কেন মা , কি হয়ছে ………. (অবাক হয়ে )
।
শিলা – আমি রুবেলকে ভুল বুঝে রাগ করে তোমার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছি , কিন্তু আমি রুবেলকে কাওকে বিয়ে করতে পারব না …… আমায় মাফ করে দাও (শিলা তার বাবার পা জড়িয়ে ধরে বলল)
।
শিলার বাবা – আরে পাগলি কি করছিস ওঠ আর কাদতে হবে না , তুই রুবেলকে আসতে বলল , রুবেলের সাথেই তোর বিয়ে হবে আজ , ওকে ……….. (শিলাকে বুকে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে )
।
শিলা – সত্যি আব্বু ……….( কান্না করতে করতে )
।
তারপর শিলা আমাকে অনেক বার ফোন দিল কিন্তু আমার ফোন বন্ধ .
অন্যদিকে আমার মাও আমাকে খুজতে লাগলো , আমাকে না পেয়ে অবশেষে শিলাদের বাড়ি আসল কিন্তু এসে দেখল অমি নেই …
।
এদিকে আমি শিলাদের বাড়ির গেটের সামনে আসলাম . খুব কষ্ট হচ্ছে তাও আস্তে আস্তে দারোয়ানের কাছে গেলাম ……
আমি – চাচা এটা আপনার শিলা মাকে একটু দিয়ে আসবেন ………..?
।
চাচা – আচ্ছা তুমি ভিতরে যাবে না ………….?
।
আমি – না চাচা . আপনি একটু দিয়ে আসুন , আর বলবেন না যে আমি দিছি …….
।
তারপর চাচা গিফট টা নিয়ে ভিতরে গেল ……….
।
দারোয়ান চাচা – শিলা মা এটা তোমার জন্য ………..
।
শিলা – কে দিল চাচা ……….
।
চাচা – যানিনা শুধু তোমায় দিতে বলল ……
।
তারপর শিলা গিফটা নিল ………….
এদিকে আমি আর থাকতে পারছিলাম না , আমার সব শক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছিল , আস্তে আস্তে চোখ লেগে আসছিল তখনি মার কথা মনে পরল যদি মরার আগে একবার মাকে দেখে যেতে পারতাম , তাই পকেট থেকে ফোন বের করলাম কিন্তু ফোন অন হচ্ছে না , মনে হয় Accident এর কারণে ফোনে চাপ পড়েছে . অনেক কষ্টে ফোনটা অন করলাম . কিন্তু মার নাম্বার বের করে ডায়াল করতে পারছি না . হাত কাপছে আর হাতে রক্ত থাকায় ফোন কাজ করছে না , মনে মনে শুধু আল্লাহকে বলছি মরার আগে একটি বার আমার মাকে দেখতে দিও .. হঠাৎ মার নাম্বারে ডায়াল হল . ফোন রিসিব হতেয়………..
আমি – আম্মু তুমি কোথায় ………….. (কান্না চেপে রেখে কিন্তু কথা আটকে পড়ছিল হয়ত মা বুঝতে পারছে )
।
আম্মু – আমি শিলাদের বাসায় তুই কোথায় বাবা . আমার ভুল হয়ে গেছে ,তুই আমাকে মাফ করে দে বাবা …………..(কেদে কেদে )
।
আমি – একটু শিলাদের বাড়ির বাইরে আসবা ………… (কেদে কেদে )
।
আম্মু – কেন , তুই কোথায় বাবা ………. (কেদে কেদে)
।
আমি – শিলাদের বাসার বাইরে ……….( কথা আটকে আটকে পড়ছিল আর খুব কষ্ট হচ্ছিল )
।
আম্মু – তাহলে ভিতরে আয় ……….
।
আমি – যদি আমায় দেখতে চাও তাহলে আস প্লিজ আর তাড়াতাড়ি আমার হাতে বেশি সময় নাই……… (কেদে কেদে)
।
আম্মু – কেন কি হয়ছে তোর ………….(চিতকার করে কেদে কেদে )
।
আম্মুর চিতকারে সবাই আম্মুর সাথে আসতে লাগলো ,
আমি আর কথা বলতে পারলাম না , হাত থেকে ফোন পড়ে গেল . আমার পা গুলো ডুলছিল অনেক কষ্ট করে দাড়িয়ে আছে হঠাৎ পিছন থেকে কেউ ডাকদিল ….
আম্মু – রুবেল ………..
আম্মুর ডাকে গুরতেই শরীর থেকে চাদরটা পড়ে গেল . সারা শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে , আম্মুর দিকে যেতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম … চোখ দুটো বন্ধ হতে যাচ্ছিল তখণি দুই জনের চিতকার শুনলাম একটা মার আরেকটা শিলার তারপর ঘুমের দেশে হারিয়ে গেলাম যেখান থেকে ফেরা যায় না সহজে ………………..
.
.
গল্পটা পড়ে কার কার চোখে পানি আসছে ………
কেমন হয়ছে পুরো গল্পটা জানাবেন ……………..
Comments
Post a Comment