অবহেলার শেষ পরিণতি পর্ব - 01
# অবহেলার শেষ পরিণতি #
%লেখক : রুবেল%
পর্ব : 01
আমি হাসান বাবা-মার অবাধ্য ছেলে . বাসায় বাবা – মার সাথে ঝামেলা করে রাস্তাই রাস্তাই হাটছি . আপনারা হয়ত ভাবছেন বাবা – মার সাথে আবার কি ঝামেলা করলাম তাইনা . আসলে আমি সারাদিন ফোন চালাই তাই আব্বু আর আম্মু বকা দিয়েছে তাই রাগ করে বাড়ির বাইরে চলে আসছি . হঠাং রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম তখনি দেখলাম কয়েকটা ছেলে একটা মেয়েকে বিরক্ত করছে . . তাই তাদের কাছে গেলাম .
আমি – আপু কি হয়েছে . . কোন সমস্যা কি …………..? ( যে মেয়েটাকে ছেলেগুলো বিরক্ত করছিল তাকে বললাম)
।
মেয়েটা – দেখেন না ভাইয়া এই ভাইয়া গুলো আমাই যেতে দিচ্ছে না. . . (ভেজা গলাই)
।
আমি – এই যে ভাইয়ারা আপনারা ওনাকে যেতে দিচ্ছিনে না কেন ………….?
।
একটা ছেলে – এই হিরো ওকে কেন যেতে দিচ্ছি না সেটা কি তোকে বলতে হবে ? তুই তোর কাজে যা আমাদের কাজ শেষ হলে ওনাকে ছেড়ে দিব ……….. (হাসতে হাসতে)
।
আমি – ওনাকা যেতে দেন নয়ত …………
।
ছেলেগুলো – নয়ত কি .. না যেতে দিলে কি করবি তু্ই ……….( আমায় ধাক্কা দিয়ে )
।
আমি – ভাইয়া আমি ঝামেলা করতে চাই না তাই বলছি গায়ে হাত দিবেন না…… (ভালোবাভে বললাম)
।
ছেলেগুলো – গায়ে হাত দিলে কি করবি মারবি আমাদের মার দেখি তোর কত সাহস …………?
।
কথাটা বলতে বলতে ছেলেগুলো আমার দিকে এগিয়ে এসে হঠাং গুশি মারল তাই আমিও নিজেকে আটকে রাখতে পারলাম না ,আমিও মারতে লাগলাম আমার মার খেয়ে দুইজন ছাড়া সবাই চলে গেল . এখন দুজনকেই মারছি হঠাং একটা অচেনা মেয়ে আমার হাত ধরে টান দিয়ে গুরিয়ে ঠাসসস্ ঠাসসসস্ করে চড় মেরে বসল . আমি শুধু তার দিকে তাকিয়ে আছি মেয়েটাকে দেখতে খুব মায়াবি . তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি কিন্তু তাও মন ভরছে না মনে হচ্ছে সারাজীবন মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকি………..
মেয়েটি – এই যে আপনার লজ্জা করে না , এভাবে দুইটা ছেলেকে মারছেন দেখেত ভালো ঘরের ছেলে বলে মনে হচ্ছে তা ব্যবহার গুনডাদের মত কেন . গুনডামি করার জন্য কি বাবা মা বড় করেছে ……….
।
আমি মেয়েটার দিকে অপলক চোখে তাকিয়ে আছি কেন জানি চোখ সরাতে পারছি না. মেয়েটা আরও অনেক কিছু বলে চলে গেল………
।
আমি শুধু ভাবছি মেয়েটা আমাই এত কিছু বলে গেল কিন্তু আমি কিছু বলতে পারলাম না কেন . তাহলে কি আমি মেয়েটার প্রেমে পড়ে গেলাম . . . এসব ভাবছি তখনি মেয়েটা বলল.. (যার জন্য ছেলেগুলোর সাথে ঝামেলা করলাম )
মেয়েটা – আমার জন্য ওই আপুটা আপনাকে অনেক বাজে কথা বলল . I am sorry.
।
আমি – আরে আমি ওনার কথাই কিছু মনে করিনি . আপনাকে সরি বলতে হবেনা. আপনি চলুন আমি আপনাকে বাড়ি পোছে দিয়ে আসি ……
।
তারপর আমি রিক্সা মেয়েটাকে তার বাসায় নিয়া গেলাম তাকে নামিয়ে দিয়ে চলে আসব তখনি ……..
মেয়েটা – ভাইয়া আপনি আমার এত উপকার করলেন আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না .যদি এক কাপ চা খেয়ে যান তবে খুশি হতাম ………
।
আমি – আজ নয়ই অন্য একদিন এসে খাব . আজ একটু কাজ আছে ……..
।
মেয়েটা – ঠিক আছে ভাইয়া ……..
।
তারপর আমি রিক্সা নিয়ে বাড়ি চলে আসলাম . . .
বাড়িতে এসে কলিংবেল বাজাতেই আম্মু দরজা খুলে দিল .
আম্মু – কিরে কোথাই ছিলি এতখন আর গালে থাপড়ের দাগ কেন . আবার কার সাথে ঝামেলা করেছিস .
।
আমি – আসলে আম্মু ………….
।
আম্মু – কি হয়েছে বলল …….
।
তারপর আম্মুকে সব বললাম . আমি একটা মেয়ের হাতে চর খেয়েছি শুনে আম্মুত দেখি খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছে .
আমি – তোমার ছেলেকে একটা মেয়ে থাপ্পর দিয়েছে এটা শুনে তুমি খুশিতে হাসতেছ ………..? (অবাক হয়ে)
।
আম্মু – হাসব না তো কি করব তুই ছেলেগুলোকে মারতে পারলি কিন্তু মেয়েটাকে কিছু বলতেই পারলি না ……. (কথাটা বলেই হাসতে লাগলো)
।
আম্মুর কথা শুনে রাগে দু:খে আমি রুমে চলে আসলাম তারপর ফ্রেস হয়ে মেয়েটার কথা ভাবতে ভাবতেই সারাদিন কেটে গেল পরের দিন সকালে …….
আম্মু – এই যে নবাব সাহেব আপনি কি উঠবেন ………….?
।
আমি – হুম …………. (ঘুমের ঘোরে)
।
আম্মু – তাহলে উঠ বেলা 10 টা ভাজে কলেজ এ যাবি না. . . . ?
।
আমি –হুম …………. (ঘুমের ঘোরে)
।
আম্মু – কি হুম হুম করছিস তুই ওঠবি নাকি পানি দিতে হবে ……….?
।
আমি – হুম …………. (ঘুমের ঘোরে)
।
কিছুখন পর হালকা ঠান্ডা লাগতে লাগলো হঠাং মনে হল আকাশ থেকে সব বৃষ্টি আমার উপর পড়ছে তাই লাফ দিয়ে ওঠে পড়লাম ….ওঠে দেখি আম্মু বালতি নিয়ে দাড়িয়ে আছে তার মানে আমার উপর বৃষ্টি নয় আম্মু পানি ঢেলে দিয়েছে. . . .
আমি – এটা কি করলে . আমার এত সুন্দর ঘুমটার বারোটা বাজিয়ে দিলে ………. (রেগে)
।
আম্মু – কয়টা বাজে খেয়াল আছে কি কলেজ যেতে হবে না…………?
।
আমি – হুম ………..
।
আম্মু – যা গোসল করে আয়. আমি খাবার দিতেছি ….
।
তারপর খাবার খেয়ে কলেজের দিকে যাচ্ছি . আমাদের বাড়ে থেকে কলেজ 20 মিনিটের রাস্তা তাই হেটেই যাচ্ছি . 20মিনিট পর কলেজের গেটের সামনে এসে পড়লাম . তারপর কলেজের ভিতর ঢুকে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতেছিলাম হঠাং দেখলাম ………..
Comments
Post a Comment