পিচ্চি বউ পর্ব - 03
# পিচ্চি বউ #
Part - 03
% লেখক : রুবেল %
তারপর রেডি হয়ে সবাই মিলে রিয়াদের বাসার দিকে যাওয়ার জন্য বের হলাম . প্রায় 3 ঘন্টা পর রিয়াদের বাসার গেটে আমাদের গাড়ি দাড়ালো . আমাদের গাড়ি দেখে সবাই তাড়াহুড়া শুরু করে দিল … তারপর রিয়ার মা মানে আমার শাশুরি এসে নিয়ম পালন করে আমাকে ভিতরে নিয়ে গেল . . .
আমরা ভিতরে যাওয়ার কিছুখন পর কাজী আসল . কাজী আসার কিছুখন পর কয়েক জন মেয়ে মিলে রিয়াকে নিয়ে এসে আমার পাশে বসিয়ে দিল . হঠাং হতে ব্যাথা অনুভব করলাম . রিয়ার দিকে তাকাতেই মুচকি হাসি দিয়ে চোখ মারল , তার মানে আমার হাতে রিয়া চিমটি কাটছে .
(কি মেয়েরে বাবা বিয়ের আগেই চিমটি কাটছে , বিয়ের পরত আমার জীবন তেজপাতা বানিয়ে ফেলবে মনে মনে বলাম )
কিছুকখন পর কাজী আমাদের বিয়ে পড়ালেন , আমি কোনো ভাবেই বিয়ে আটকাতে পারলাম না , তাই বাধ্য হয়ে বিয়েটা করতেই হল …….
তারপর শেষ মেশ রিয়াকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসলাম . বাড়িতে আসতেই সবাই রিয়াকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল . একন তো মানে হচ্ছে রিয়া এই বাড়ির মেয়ে আর আমি অন্যবাড়ির ছেলে আর আমি রিয়াকে নয় বরং রিয়া আমাকে বিয়ে করে এই বাড়িতে নিয়ে আসছে ….
সবার রিয়াকে নিয়ে এত বাড়াবাড়ি আমার আমার আর ভালো লাগছিল না তাই আমি একাই ছাদে গেলাম .ছাদে গিয়ে ভাবতাছি বিয়েতো করেই ফেলাম এখন এই মেয়েকে কিভাবে বাড়ি থেকে তাড়াবো ..আমি তো রিয়াকে ভালোবাসতে পারবনা , ওকে আমার স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারবনা . কারন আমি রাইসাকে ভালোবাসি আর রাইসাকে ছাড়া আমি যেমন বাচতে পারবো না তেমনি রাইসাও আমাকে ছাড়া বাচতে পারবে না . আজ আমার জীবনের সব উলটা পালটা হয়ে গেছে আর এর জন্য দায়ী আমার ভিলিয়েন মার্কা বাবা . এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে রাত 12 টা বেজে গেছে বুঝতে পারিনি হঠাং পিছন থেকে ….
আব্বু – রুবেল…………..
।
আমি – জ্বী আব্বু (পিছনে তাকিয়ে অবাক হয়ে)
।
আব্বু – তুই এত রাতে ঘরে না গিয়ে এখারে কি করছিস …………….?(রাগী গলায়)
।
আমি – কিছুনা আব্বু একটু আকাশ দেখছিলাম …. (ভয়ে ভয়ে )
।
আব্বু – তোর কি আকেল ঙ্গান কিছু নাই , নতুন বউ রেখে তুই এখানে আকাশ দেখছিস ………… (রাগে গজ গজ করে )
।
আমি – sorry আব্বু ……(ভয়ে ভয়ে )
।
আব্বু – তারাতাড়ি ঘরে যা রিয়া একা একা বসে আছে ………..
।
তারপর বাবার কথায় ঘরের দিকে যাচ্চি, যত ঘরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি তত কেমন যানি ভয় করছে .
আস্তে আস্তে শরীর গামছে তারপর দরজা খুলে ঘরে গেলাম …….. আমি গিয়ে ভিতরে দাড়াতেই রিয়া এসে আমাকে সালাম করে আবার গোমটা দিয়ে খাটে বসল .আমি বুঝতে পারছি না কি করব . তারপর ও সাহস করে বললাম ……..
।
আমি – আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে ……….
।
রিয়া – এখন আগে ফ্রেস হয়ে আসেন তারপর কথা বলবেন . ..
।
আমিও ফ্রেস হয়ে নিলাম তারপর রিয়াও ফ্রেশ হয়ে নিল আর বলল …..
রিয়া – হুম এখন বলেন কি বলবেন , এখন আপনার সব কথা শুনব …………( আমার কাছে এসে )
।
আমি – আমি আপনাকে আমার বউ হিসেবে মানতে পারব না ……….( নিজেকে দুরে সরিয়ে নিয়ে)
।
রিয়া – কি ……………( অবাক হয়ে )
।
আমি – হ্যা আপনি ঠিক শুনছেন আমি আপনাকে আমার স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারব না ………..
।
রিয়া – কেন . আমি কি দেখতে খারাপ . আমায় কি আপনার পছন্দ হয়নি ……? (কাদো কাদো গলায়)
।
আমি – আমি তানা আসলে ……………
।
রিয়া – আসলে কি বলুন , আসলে আপনি কি করে বুঝবেন আমার কষ্ট . জানেন জীবনে কখনো প্রেম করিনি কারন বিয়ের পর শুধু স্বামীকে ভালোবাসব বলে . জানেন বিয়ে নিয়ে প্রত্যেক মেয়েরি অনেক স্বপ্ন থাকে , আমারো ছিল কিন্তু আপনার একটা কথা আমার সব স্বপ্ন নষ্ট করে দিয়েছে . যায় হক কি কারণে আমায় স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারবেননা বলুন . আমি যানতে চাই .( কেদে কেদে বলল)
।
আমি – আসলে আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি . আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাইনি , কিন্তু আমায় আমার বাবা জোর করে বিয়ে করতে বাধ্য করেছে ……. আমি আমার ভালোবাসার মানুষকে ছাড়া কাওকে আমার জীবনে যায়গা দিতে পারব না ………
।
রিয়া – ও . আচ্ছা দিতে হবে না আমাকে আপনার স্ত্রীর অধিকার এখন বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন ………… ( চোখ মুছতে মুছতে )
।
আমি – আপনি কোথায় ঘুমাবেন ……….?
।
রিয়া – আমার কথা আপনাকে ভাবতে হবে না . আপনি শুয়ে পড়ুন আমি সোফাই শুয়ে পড়ব …….. (কান্না লুকিয়ে বলল)
।
তারপর আমি বিছানায় শুয়ে পড়লাম . ওদিকে রিয়া বারান্দায় দাড়িয়ে ভাবছে আর কি যান একটা ডাইরিতে লেখছে ……
।
রিয়া – আজ কেন জানি খুব কষ্ট হচ্ছে ,, কলেজ লাইফে অনেক ছেলে প্রোপজ করছে কিন্তু আমি কারো কথাই রাজি হয়নি কারণ আমার ইচ্ছা ছিল আমার সবটুকু আমার স্বামীকে ওজার করে দিব , কত স্বপ্ল দেখছিলাম এই দিনটা নিয়ে , সবকিছু এক ঝাটকায় শেষ হয়ে গেল . আজ নিজের প্রতি খুব রাগ হচ্ছে কারন যে দিন যেনেছিলাম রুবেলের সাথে আমার বিয়ে হবে সেই দিন থেকে রুবেলকে ভালোবাসতে শুরু করি এমকি মনে মনে তাকে নিজের স্বামী হিসেবে মেনে নেই আর আজ জানতে পারি সে আমায় নাকি তার স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারবে না . এসব ভাবছি আর কান্না করছি . কতখন কান্না করছ মনে নাই . কান্না করতে করতেই বারান্দাই ঘুমিয়ে যায় ….. যখন ঘুম ভাঙ্গল দেখি সকাল হয়ে গেছে বারান্দা থেকে ঘরে গেলাম গিয়ে দেখি রুবেল এখনো ঘুমাচ্ছে আর তাকে ঘুমের গুরে ছোট বাচ্চার মত লাগছে , ছেলেটাকে কত সুন্দর দেখাচ্ছে মনে হচ্ছে আমার রাজকুমার মনে হচ্ছে তাকে গিয়ে জরিয়ে ধরে বলি তুমি শুধু আমার তখণি মনে পড়ল রাতে বলা রুবেলের কথা গুলো তাই নিজের ইচ্ছে গুলোকে মাটি চাপা দিয়ে ওয়াস রুমে দিয়ে ফ্রেস হতে গেলাম .
এদিকে রুবেল –
হঠাং চোখে আলো পড়াই ঘুম ভেঙ্গে গেল . ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখি রিয়া সোফায় নাই সারা ঘর খুজে দেখলাম কোথাও পাচ্ছিনা , রিয়া গেল কোথা য় আচ্ছা রিয়া আবার বাপের বাড়ি চলে যায়নিত , রিয়া চলে গেলেত আমারি ভালো কিন্তু আমার এমন কেন হচ্ছে মনে হচ্ছে আমার কোন আপন মানুষ আমার থেকে দুরে চলে যাচ্ছে , না আর ভাবতে পারছিলাম না তাই ফ্রেস হবার জন্য ওয়াস রুমের দিকে যেতেই কারো সাথে ধাক্কা খেলাম আর ফ্লোরে পড়ে গেলাম . আমি পড়তেই রিয়া আমার উপর পড়ে গেল আর হঠাং পড়ে যাওয়ায় তাল সামলাতেনা পারায় দুইজনের ঠোট এক হয়ে গেল . . .
দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকতে লাগলাম . আমার মনে হচ্ছে আমি কোথাও হারিয়ে যাচ্ছি . কেন যেন এই গুর কাটতে চাইছিল না . আর তখনি ……………………..
.
.
.
Wait for next part………………
Comments
Post a Comment