অবহেলার শেষ পরিণতি পর্ব - 03
# অবহেলার শেষ পরিণতি #
%লেখক : রুবেল%
পর্ব : 03
পিন্সিপাল – কি হল বল . ভয় পেওনা ….
।
তানিয়া – স্যার হাসান আমাকে বিরক্ত করছিল . রাসেল ভাই বাধা দেওয়ায় হাসান রাসেল ভাইকে মারতে যায়……. (মাথা নিচু করে বলল)
।
(আমি আর নাজমুল তানিয়ার কথাই পুরো অবাক হয়ে গেলাম . আমি তানিয়াকে বাচাতে আসলাম আর তানিয়া কিনা আমাকে কলেজের সবার সামনে খারাপ বানালো .)
।
পিন্সিপাল – হাসান তোমাই আমি ভালো ভাবছিলাম আর তুমি ………….?
।
আমি – স্যার তানিয়া আপু ভয়ে মিথ্যা বলছে . আমি ওনাকে বিরক্ত করিনি ………….. (করুন গলাই)
।
হঠাং একটা মেয়ে বলল স্যার আমি কিছু বলতে চাই . মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আমি অবাক হলাম কারণ এই মেয়েটা সেই মেয়ে যাকে প্রথম দেখাই আমি ভালোবেসে ফেলেছি.
।
স্যার – রিয়া তুমি কি বলতে চাও …………?
(তার মানে আমার মনের মানুষের নাম রিয়া )
রিয়া – স্যার রাসেল ভাই হয়ত ঠিক বলছে ………..
।
স্যার – তোমার এই কথা মনে হল কেন …………..?
।
রিয়া – আসলে স্যার এই ছেলেটা সব সময় সবার সাথে মারামারি করে . কাল আমিও ওনাকে মারামারি করতে দেখেছি ……… (আমাকে দেখিয়ে বলল)
(রিয়ার কথা শুনে আমি আরও অবাক হলাম .)
আমি – আপনি না জেনেই কারো সর্ম্পকে খারাপ মন্তব্য করতে পারেন না. . .( রিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললাম )
।
স্যার – আমার যা বুঝার আমি বুঝে গেছি হাসান তুমি তানিয়া আর রাসেল এর কাছে মাফ চাও নয়ত আমি তোমার বাবা – মাকে ডাকতে বাধ্য হবো .
।
তারপর কোন উপায় না পেয়ে তাদের কাছে মাফ চাইলাম . এজন্য হয়ত লোকে বলে কারো উপকার করতে নাই . কলেজের এক কোনায় বসে আছি হঠাং নাজমুল আসল .
।
নাজমুল – দেখলি বলেছিলাম না যাসনা . গেয়ে নিজেই বিপদে পড়লি ……….
।
আমি – নিশ্ব:চুপ ………
।
নাজমুল – কিরে মন খারাপ …………..?
।
আমি – না শুধু ভালো লাগছে না ………..
।
নাজমুল – চল আজ আর ক্লাস করতে হবে না . একটু ঘুরে আসি ……
।
তারপর নাজমুল আর আমি ঘুরার জন্য কলেজ থেকে বের হবে ঠিক সে সময় দেখি রিয়া রাসেলের সাথে কথা বলছে . দেখে একটু রাগ হল . তারপর কলেজ থেকে বেরিয়ে পড়লাম রাস্তা দিয়ে হাটছি কলেজ থেকে একটু দুরে যেতেই দেখি তানিয়া আপু দাড়িয়ে আছে . আমি আর নাজমুল দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছিলাম তখনি ………
তানিয়া – ভাইয়া তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে ………….?( করুন গলাই)
।
আমি – কে আপনার ভাইয়া …….? আমি কারো ভাইয়া টাইয়া নয় ……….?
।
তানিয়া – আমি জানি তুমি আমার উপর রেগে আছ কিন্তু একটি বার এই বোনের কথাটা শুন প্লিজ …………?( কাদো কাদো গলাই )
।
আমি – কি বলবেন তাড়াতাড়ি বলেন …………?( রাগ দেখিয়ে )
।
তানিয়া – তখন তোমার নামে মিথ্যা বলার জন্য আমি দু:খিত . আসলে তখন তোমার নামে ওগুলো বলা ছাড়া আমার কোন উপায় ছিলনা ……….. (কেদে কেদে)
।
আমি – কেন উপায়ত ছিল আপনি যদি তখন সত্যিটা বলতেন তাহলে রাসেলকে স্যার শাস্তি দিত . ফলে রাসেল আর আপনাকে বিরক্ত করতে সাহস পেত না.
।
তানিয়া – আসলে রাসেল আমায় হুমকি দিয়েছিল আমি যদি কারো কাছে তার নামে বিচার দেই তাহলে রাসেল আমার ক্ষতি করে দিবে তাই আমি ভয়ে বলার সাহস পাইনি .
।
আমি – ও বুঝলাম তবে একটা অনুরোধ আর কোন দিন কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিবেন আর পারলে ভয় না পেয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন .
।
তানিয়া – হুম ………..( মাথা নিচু করে )
।
আমি – আচ্ছা আমি এখন যায় ……………
।
তানিয়া – আমি কি আপনাকে ভাইয়া ডাকতে পারি ………..?
।
আমি – যেদিন থেকে অন্যায় এর প্রতিবাদ করতে পারবেন সেদিন থেকে ডাকবেন ..
।
কথাটা বলেই আমি চলে আসলাম . তারপর নাজমুল এর সাথে ঘুরে বাড়ি চলে গেলাম . তারপরের দিন কলেজে এসে খুব কষ্ট পেলাম . কারন কলেজে এসে দেখি রাসেল গোলাপ ফুল নিয়ে রিয়াকে পোপ্রজ করছে আর রিয়া ফুলটা নিয়ে চলে গেল . আমি রাসেল এর কাছে গেলাম ….
আমি – তুমি এটা কেন করলে……..?
।
রাসেল – কেন কি করলাম আমি ------
।
আমি – আমি জানি তুমি রিয়াকে মন থেকে ভালোবাস না তাহলে কেন তাকে পোপ্রজ করেছ………..?
।
রাসেল – আমার ইচ্ছা হয়েছে করেছি তাতে তোর কি ……….?
।
আমি – আমি রিয়াকে ভালোবাসি আর সেটা মন থেকে ……..
।
আমি কথাটা বলতেই পেছন থেকে কেউ আমায় ডাকদিল আমি পিছনে তাকাতেই আমি অবাক হলাম …………
.
.
.
কমেন্ট এন্ড লাইক না করলে আর দিব না………..
.
.
.
Wait for next part……………..
Comments
Post a Comment