পিচ্চি বউ পর্ব -05
# পিচ্চি বউ #
Part - 05
% লেখক : রুবেল %
তারপর ভয়ে ভয়ে রিয়ার সাথে আব্বুর কাছে গেলাম……………
আমি – আব্বু ডেকেছ আমায় ……….?( ভয়ে ভয়ে )
।
আব্বু – হুম ……………( গমভীর সরে )
।
আমি – কিছু বলবে কি আব্বু ………( ভয়ে ভয়ে )
।
আব্বু – আজ তোমার কোন কাজ আছে কি বা কোথাও যাবে এমন নিয়ত করছ কি …………?
।
আমি – না আব্বু সেরকম কোন কাজ নাই . শুধু বন্ধুদের সাথে একটু দেখা করতে যাব …….
।
আব্বু – আজ কোথাও তুমি যেতে পারবেনা …………? (রাগী গলায়)
।
আমি – কেন আব্বু ………( ভয়ে ভয়ে )
।
আব্বু – আজ তুমি রিয়ার সাথে রিয়াদের বাড়ি যাবে …….
।
আমি – কেন আব্বু , কিছু কি হয়েছে …………?
।
আব্বু – আরে গাদা এটা নিয়ম , বিয়ের পর বউকে নিয়ে শশুর বাড়ি নিয়ে যেতে হয় …..
।
আমি – ও আচ্ছা . ( যদিও যাওয়ার ইচ্ছা নাই তাও যেতে হবে কারণ না গেলে আমার ভিলেয়েন বাবা আমার বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে )
।
তারপর আর কি সারাদিন বাড়িতেই থাকলাম . বিকেলে রিয়াদের বাড়ি থেকে লোক আসল আমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য . তারপর আমি আর রিয়া রেড়ি হতে ঘরে গেলাম ….
আমি রেড়ি হলাম কিন্তু রিয়া এখনো হতে পারছে না হঠাং
রিয়া – আমায় একটু হেল্প করবেন ………..?
।
আমি – কি ……….?
।
রিয়া – আমি না শাড়ী পড়তে পারিনা . একটু পড়িয়ে দিবেন …………? (নবম শুরে)
।
আমি – কিন্তু আমিত শাড়ি পড়াতে পারিনা ………….( মিথ্যা আসলে আমি শাড়ি পড়াতে পারি)
।
রিয়া – প্রবলেম নাই ইন্টারনেট এ দেখে দেখে পড়াবেন ……….? (হাতে ফোন দিয়ে)
।
আমি – আমি পারব না . যেটা পড়তে পারেন না সেটা পড়তে চান কেন ……….?( রাগ দেখিয়ে )
।
রিয়া – আপনি পড়াবেন কিনা বলেন ….. (আমার দিকে এগিয়ে আস্তে আস্তে বলল)
।
আমি – কি ব্যাপার আপনি এভাবে আমার দিকে আসছেন কেন……….?( ভয়ে ভয়ে)
।
রিয়া – তুই আমায় শাড়ি পড়াবি কিনা বলল ……..( রেগে লাল হয়ে )
।
কিছু বলতে যাব তার আগেই মুখ বন্ধ করে দিল . ছাড়ল পাক্কা 10 মিনিট পর . ছাড়ার পর হাপাতে হাপাতে আমি – এই পিচ্চি এটা কি হল …? আপনি আমায় কিস করলেন কেন ………?
রিয়া – আমার স্বামী আমি যখন যা ইচ্ছা তাই করব . আর বেশি বারাবারি করলে আব্বুকে বলব তুই আমারে মেরেছিস বুঝলি ………( রেগে আগুন হয়ে )
।
আমি – এই পিচ্চি তুমি কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করছ …………?
।
রিয়া – বাড়াবাড়ির দেখছিস কি এখন দেখাব নাকি শাড়ি পড়াবি ………..(রেগে আগুন হয়ে)
।
আমি – আচ্ছা পড়িয়ে দিচ্ছি …..( ভয়ে বললাম কারন এই যা ইচ্ছা করতে পারে ওর বিশ্বাস নেই)
।
তারপর বাধ্য হয়ে রিয়াকে শাড়ি পড়াতে লাগলাম . একটা জিনিস খেয়াল করলাম আমার হাতের ছোয়ায় রিয়া বারবার কেপে কেপে ওঠছে আর আমার মাথার চুল খামচে ধরছে . যখন শাড়ির কুচি গুচতে যাব তার নাভিতে আমার হাত লাগতেই সে আমাকে আস্টে পিস্টে জরিয়ে ধরল…………
আমি – কি হল ছাড়েন …………. তানাহলে কুচি গুজব কিভাবে …………?
।
রিয়া – আমি তোমায় খুব ভালোবাসি প্লিজ আমায় আর দুরে সরিয়ে রেখ না . আমি তোমার ভালোবাসা পেতে চাই ………….( ভেজা গলায়)
।
আমি – ছাড়ুন আমায় সবাই অপেখা করছে , তাড়াতাড়ি যেতে হবে এমনি অনেক দেরি হয়ে গেছে ……
।
তারপর রিয়া আমায় ছেড়ে দিল . আর আমি তাকে শাড়ি পড়িয়ে দিলাম . কেন জানিনা আমি আস্তে আস্তে রিয়ার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ছিলাম . নিজেকে কন্টোল করতে কষ্ট হচ্ছিল.তারপর রাইসার কথা মনে পড়তেই নিজেকে বুঝালাম আমি শুধু রাইসার . আর রিয়া আমার জীবনে শুধু ছয় মাসের অতিথি ..
তারপর রিয়ার সাথে শশুর বাড়ি গেলাম ……………
শশুর আব্বু আর শাশুরি আম্মুকে সালাম করে রিয়ার ঘরে গেলাম , রিয়ার ঘরটা খুব সুন্দর করে সাজানো , আসলে মেয়েরা পরিষ্কার পরিচ্ছিন্ন থাকতে বেশি ভালোবাসে তাই তাদের ঘর খুব সুন্দর করে গোছানো থাকে . তারপর রিয়া ঘরে আসল ………..
রিয়া – এই যে মিষ্টার ……………..
।
আমি – হুম বলুন …………..
।
রিয়া – ফ্রেস হয়ে আসেন আম্মু খাওয়ার জন্য ডাকছে ……………
।
আমি – হুম আসছি ..
।
তারপর ফ্রেস হয়ে নিচে গেলাম ………………
।
তারপর সবার সাথে খেয়ে , বসে বসে টিভি দেখছিলাম তখনি রিয়ার কয়েকজন বোন আসল …..
রিয়ার বোন – দুলাভাই কেমন আছেন …………
।
আমি – ভালো , আপনারা কেমন আছেন …………….?
্
রিয়ার বোন – দুলাভাই আপনি দেখতে অনেক সুন্দর , একদম চকলেটের মত দেখলেই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে ……………..( দুষ্টুমি করে )
।
আমি – তাই ……………. তোমরাও অনেক সুন্দর , আগে জানলে তোমাদের বিয়ে করে ফেলতাম , আর মন ভরে চকলেট খাওয়াতাম …………(ফাজলামি করে)
।
তখনি দেখি রিয়া সামনে দাড়িয়ে আছে . আর রাগে চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে . আমি রিয়াকে পাততা না দিয়ে শালিদের সাথে ফাজলামো করতে লাগলাম. হঠাং………
রিয়া – এই তুমি একটু ঘরে আস দরকার আছে ……….?
।
আমি – কেন , এখানে বলল…………..?
।
রিয়া – তুমি আসবে কি …………( চোখ লাল করে )
।
আমি – ওকে …….আসছি ….
।
আসলে রিয়ার এই রাগ আগে দেখিনি . তাই ভয়ে ভয়ে ঘরের দিকে যেতে লাগলাম . ঘরে যেতেই রিয়া দরজা লাগিয়ে ধাক্কা দিয়ে খাটে খাটে ফেলে আমার ওপর শুয়ে বলতে লাগল…………..
রিয়া – তুই ওদের কি বললি , আগে জানলে আমার বোনেদের বিয়ে করতি , আজ তোর বিয়ে করার একবারে মিটিয়ে দিব ……….. (কলার চেপে ধরে রাগে গজ গজ করে বলল)
।
আমি – কি করছেন কি ……… আমিত মজা করে বলছি … …. (ভয়ে ভয়ে )
।
রিয়া – তোর মজার গুলি মারি …
।
আমি কিছু বলতে যাব তার আগেই আমার মুখ বন্ধ করে দিল . ছাড়লো 10 মিনিট পর , এখন দুজনে একসাথে হাপাতে লাগলাম ………….
আমি – এগুলো কি রকম পাগলামি , আর একটু হলে হত মরেই যেতাম ………..( হাপাতে হাপাতে)
।
রিয়া – এটাত সাধারন ছিল এর পর যদি তোকে কোন মেয়ের সাথে দেখি তাহলে মেরেই ফেলব ………. (কলার চেপে ধরে )
।
আমি – দেখুন এটা অন্যায় আমি আপনাকে বলছি , আমি আপনাকে ভালোবাসতে পারব না কারন আমি রাইসাকে ভালোবাসি .( ভয়ে ভয়ে )
।
(এই মেয়ের কোন বিশ্বাস নাই কখন কি করে তাই ভয় করে )
রিয়া – তোর ভালোবাসা আজ রাতে ছুটাবো . এতদিন কিছু বলিনাই . আজ থেকে তুই শুধু আমার. আর আমাকেই শুধু ভালোবাসবি ………….
।
আমি – তুমি তো পিচ্চি এখনি ভালোবাসার কি বুঝ ………………?( হেসে হেসে)
।
রিয়া – এই একদম আমাই পিচ্চি বলবে না ….. (চোখ মিট মিট করে )
।
আমি – বলব , একশ বার বলব . পিচ্চি পিচ্চি পিচ্চি
।
রিয়া – ঠিক আছে আমি পিচ্চি , দেখবে আজ এই পিচ্চি কি দসা করে তোমার …………?
।
আমি – কি করবে …………..?
।
রিয়া – সেটা রাতেই বুঝতে পারবে ……..
।
বলেই রিয়া চলে গেল , আমি এদিকে হাসতে হাসতে শেষ . রিয়াকে পিচ্চি বললে ত ভালোই রেগে যায় .
এসব ভাবছি আর হাসছি . এবাভে সারাদিন কেটে গেল সারাদিন খাওয়া বাদে আমাকে ঘরের বাইরে যাইতে দেইনি . আমারও কেন জানি রিয়ার এই শাষনগুলো ভালো লাগছিল .কিন্তু বিপদ হল রাতে যখন রিয়া গ্লাসে করে শরবত এনে দিল…………
রিয়া – এই শরবতটা খেয়ে নেও ………….
।
আমি – আমি শরবত খাইনা ……………? (মিথ্যা কথা )
।
রিয়া – খাবে নাকি সকালের মত আবারো দিতে হবে …………(.দুষ্ট হেসে )
।
আমি – না থাক দিতে হবে না. দেও খাচ্ছি …………(.ভয়ে ভয়ে )
।
আসলে রিয়াকে বিশ্বাস নেই যখন তখন যেকোন কিছু করতে পারে ওর লজ্জা শরম কম . তাই ভালো ছেলের মত শরবতটা খেয়ে নিলাম. শরবতটা খাওয়ার পর থেকেই মাথা গুরতে লাগলো তারপর যখন সকালে ওঠলাম তখন নিজেকে দেখে নিজেই অবাক হলাম …………….
.
.
.
আজকে গল্পের মূল পর্বে প্রবেশ করলাম , এখন থেকে সবার ভালো লাগবে আশা করি .
সবাই কমেন্ট করলে পরের পর্ব দবি নইলে না ……………..
Comments
Post a Comment