অবহেলার শেষ পরিণতি পর্ব -07

# অবহেলার শেষ পরিণতি # %লেখক : রুবেল% পর্ব : 07 আমাদের কথার মাঝে আব্বু আর ডাক্তার আসল , ডাক্তার এসে আমাকে চেক করে চলে গেল . আব্বু গিয়ে ডাক্তারের সাথে কথা বলে আসল . আব্বু ডাক্তারের সাথে কথা বলে এসে যা বলল তাতে আমরা সবাই খুশি হলাম . সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছে আমার আম্মু. আব্বু – হাসান এখন তুই বিপদ মুক্ত ডাক্তার বলেছে কাল আমরা তোকে বাসায় নিয়ে যেতে পারব …. । আম্মু – তুমি সত্যি বলছ আমরা কালকে হাসানকে বাড়ি নিতে পারব ……… (খুশিতে অবাক হয়ে) । আব্বু – হুম . কাল আমরা হাসানকে বাড়ি নিয়ে যাব ……. । তারপরেরদিন হাসপাতাল থেকে রিলিস করে দিল আর আমি মা বাবার সাথে বাড়ি চলে আসলাম . যদিও এখন সম্পূর্ণ সুস্থ তাও আম্মু বাসার বাইরে যেতে দিচ্ছে না. আম্মু বলে দিয়েছে সাত দিন বাসায় শুয়ে বসে রেস্ট নিতে হবে আর সাত দিনের আগে বাসা থেকে বের হওয়া একদম নিষেধ .তাই বাধ্য হযে বাসায় বসে আছি . এভাবে কেটে গেল সাত দিন আজ 8 – 9 দিন পর কলেজে যাচ্ছি . কলেজের গেটে আসতেই নাজমুলের সাথে দেখা হল …….. নাজমুল – কেমন আছিস বন্ধু …………? (জরিয়ে ধরে) । আমি – এইত বন্ধু ভালো . তোর কি খবর ……….? । নাজমুল – ভালো ……. । আমি – একটা কথা বলব তোকে ……..? (সংকুচ নিয়ে বললাম) । নাজমুল – আমি জানি তুই কি বলতে চাস , এইত যে রিয়া কেমন আছে তাইত ………..? । আমি – নিশ্ব:চুপ শুধু মাথা নেরে হ্যাঁ বললাম …… । নাজমুল – তুই দেখতে চাস রিয়া কেমন আছে ……..? । আমি – হুম ……. । নাজমুল – ওকে তাহলে চল আমার সাথে……….? । আমি – কোথাই …………? । নাজমুল – চল গেলেই বুঝতে পারবি ….. । তারপর নাজমুল আমাকে নিয়ে কলেজের ক্যাম্পাসে নিয়ে গেল আর সেখানে আমি দেখলাম রিয়া আর রাসেল ঘনিষ্ট ভাবে বসে হাসাহাসি করছে . এটা দেখে কেন যেন বুকের বা পাশে চিন চিন ব্যাথা শুরু হয়ে গেল . তখনি ……. নাজমুল – দেখছিস এখন শান্তিত .তুই যাকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসিস সে তোকে ভালোবাসেনা . সে ভালোবাসে রাসেলকে যে কিনা তাকে ভালোবাসেনা শুধু তোকে কষ্ট দেওয়ার জন্য ওকে ব্যবহার করছে .আমি এটা ভেবে অবাক হচ্ছি, যে হাসান এর পিছনে শত শত মেয়ে গুরে বেড়াই. সেই তুই কিনা এরকম একটা মেয়ের জন্য পাগল, যে কিনা তোকে এত কষ্ট দেই এত অবহেলা করে . আর তুই কেমন মানুষরে ভাই যে তোকে ঘৃনা করে অবহেলা করে তোকে অপমান করে তারপরও তুই তার ভালোর জন্য তার ছায়া হয়ে থাকতে চাস যাতে তার কোন ক্ষতি না হয় সে জন্য. । আমি – নিশ্ব:চুপ . . . । (কারন নাজমুল যে কথাগুলো বলছে সেটা সত্যি আমার পেছনে অনেক মেয়ে গুরে কিন্তু আমি তাদের পাত্তা দেইনা . কিন্তু কেন জানি না রিয়া আমাই এত অবহেলা করে এত অপমান করে তাও ওকে ভুলতে পারি না. রিয়াকে ভুলার কথা মনে করলেই মানে হয় নিজেকে নিজের থেকে আলাদা করার কথা ভাবছি. ) নাজমুল এর কথাগুলো শুনছিলাম হঠাং দেখলাম রিয়া আমাদের দেখছে .রিয়া আমাই দেখে রাসেলের আরও কাছে গেল আরও ঘনিষ্ট হওয়ার চেষ্টা করছে . রিয়ার এই এরকম আচরণ দেখে নিজেকে নিজের কাছে খুব ছোট মনে হল . কি করব কিছু বুঝতে পারছিলাম না আবার এদিকে মন বলছে রিয়াকে ভালোবাসি সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে আমি রিয়ার প্রেমে পাগল হয়ে গেছি . তাই আর সেখানে দাড়িয়ে বাইরে চলে আসলাম তারপর নাজমুল আর তানিয়া আমার পিছু পিছু আসল এসে আমাই অনেক ভাবে বুঝালো তাই আমিও ভাবলাম যতই কষ্ট হক আমার আমি আমার রিয়া আর রাসেলের মাঝে যাব না . আজ থেকে আমি আমার মত বাচব আর রিয়া রিয়ার মত বাচতে দিব. . . এসব মনে মনে ভেবে নিজেকে মানসিক ভাবে তৈরি করে তানিয়া আর নাজমুলকে নিয়ে ক্লাসে গেলাম . অন্যদিন হলে সারা ক্লাস রিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকতাম কিন্তু আজ আর সেটা করলাম না . আজ মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করতে লাগলাম . এভাবে চলছিল দুইমাস এখন আর আমি রিয়ার কোন বিষয়ে নিজেকে জরাই না . নিজেকে বাইরে থেকে রিয়ার কাছ থেকে সরিয়ে ফেলেছি কিন্তু মনে মনে এখন রিয়াকেই শুধু ভালোবাসি . এই দুইমাস রিয়া আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে যেমন আমার সামনে রাসেল সাথে বেশি বেশি মিলামেশা করত বেশি বেশি ঘুরতে যেত আর সেগুলো আমার সামনে তার বন্ধুবান্ধবিদের সাথে আলোচনা করত ইত্যাদি . এই দুমাসে আমিও অনেকটা বদলে গেছি . বদলে গেছি বললে হয়ত ভুল হবে আসলে রিয়ার ভালোবাসা আমাই বদলে দিয়েছে এখন আর আমি আগের সেই ভদ্র ছেলে নেই এখন আমি নেসা করি . রাত জেগে জেগে চোখের পানি ফেলি . এখন আর সবার সাথে কথা বলিনা . বলতে গেলে বিশেষ প্রয়োজন না হলে কথাই বলি না . সারাখান চুপচাপ থাকি . নিজের কষ্ট নিজের মাঝে লুকিয়ে রাখতে শিখে গেছি. এখন এভাবেই কাটছিল আমার দিনগুলো রাতের সঙ্গি নেসা আর দিনে রিয়ার দেওয়া অবহেলা আর কষ্ট . হঠাং একদিন …………. রাসেল – এই নাজমুল এদিকে আয়ত…………. । নাজমুল – কেন ………….? । রাসেল – আয়না দরকার আছে……….. । নাজমুর – হুম বলেন …………? । রাসেল – হাসান কই রে …………..? । নাজমুল – কেন ………….? । রাসেল – আজত আমার ইচ্ছা পুরণ হতে যাচ্ছে তাই ওর সাথে আনন্দটা ভাগ করে নিতে চাচ্ছি . এখন বল হাসান কোথাই ………..? । নাজমুল – হাসান এখনো আসেনি কলেজে . . . । রাসেল – ও . তুই তাহলে একটা কাজ করিস হাসান আসলে বলিস আজ রিয়ার সাথে আমি রুম ডেট করব . . . . . । নাজমুল রাসেলের কথা শুনে সেখান থেকে চলে এসে তাড়াতাড়ি আমাই ফোন দিল . . . . আমি – হালো ……….. । নাজমুল – হাসান তুই কোথাই তাড়াতাড়ি কলেজ আয় ………… (হাপাতে হাপাতে) । আমি – কি হয়েছে তোর গলা এমন শুনাচ্ছে কেন ……..? কোন বিপদ হয়েছে কি………..? । নাজমুল – তুই আগে কলেজে আয় তারপর বলছি ……. । আমি – ঠিক আছে আমি এখনি আসছি কলেজে …… । ফোন এ নাজমুল এর কথা শুনে বুঝতে পরলাম নিশ্চয় বড় কিছু হয়েছে তানাহলে নাজমুল এভাবে ডাকত না তাই দেরি না করে তাড়াতাড়ি রেড়ি হয়ে কলেজ এর দিকে যেতে লাগলাম . কলেজে এসে খুব অবাক হলাম কেননা প্রতিদিন কলেজে এসে দেখি রাসেল আর রিয়া একসাথে বসে আড্ডা দেই কিন্তু আজ সারা কলেজের কোথা ও তাদের দেখতে পেলাম না . তাদের না পেয়ে নাজমুল কে ফোন করে কলেজের মাঠে আসতে বললাম . নাজমুল আমার ফোন পেয়ে তাড়াতাড়ি করে কলেজের মাঠে চলে আসল আর এসে যা বলল তাতে আমার মাথাই আকাশ ভেঙ্গে পড়ল …………… . . গল্পটা কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন .. আমার ফোন নষ্ট তাই গল্পটা কালকের মধ্যে শেষ করে দিব . . . . Wait for next part ………

Comments

Popular posts from this blog

অবহেলার শেষ পরিণতি পর্ব - 05

অবহেলার শেষ পরিণতি পর্ব - 06

অবহেলার শেষ পরিণতি পর্ব - 04