পিচ্চি বউ পর্ব -09
অভিমানী ভালোবাসা
পর্ব – 09
লেখক : রুবেল
চাকরি পাবার পর ভালোই কাটছিল আমাদের জীবন এভাবেই কেটে গেল 6 মাস।
আজ সকালে . . .
আমি – শিলা এই শিলা . . .
।
শিলা – কি হয়েছে এভাবে চেচাচ্ছ কেন . . . ( ঘরে আসতে আসতে )
শিলা ঘরে আসতেই আমি তার হাত ধরে দরজা লাগিয়ে টান দিয়ে বিছানায় ফেলে আমি তার উপর শুয়ে পড়লাম. . .
শিলা – এই কি করছ . . . ? কেউ দেখে ফেলবে . . .
।
আমি – কেউ দেখবে না . . .
।
শিলা – কি শুরু করলা সকালবেলা ছাড়ো , কাজ আছে আমার . . .
।
আমি – না ছাড়বো না , এখন আমি আমার বউকে আদর করব . . . ( বলেই শিলার ঠোটের দিকে আমার ঠোট নিতে লাগলাম , শিলা ছাড়া পাওয়ার জন্য চেষ্টা করল)
।
শিলা – রুবেল ছাড়ো আমায় , এখন আমার এসব ভালো লাগছেনা . ( বিরক্ত হয়ে কথাটা বলল)
।
আমি – জ্বী না তাতো হবেনা , আমার বউ আমি যখন ইচ্ছা আদর করব তাতে তোমার কি . . ?
।
কথাটা বলেই আমি শিলাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম আর তার খুব কাছে চলে আসলাম এতটাই কাছে যে আমরা একে অপরের শ্বাস নেওয়ার আওয়াজ শুনতে পারছিলাম . আমি যেই শিলার ঠোটে কিস করতে যাব তখনি শিলা আমায় খুব জোরে ধাক্কা দেই আর আমি তাল সামলাতে না পেরে ঘরের দেওয়ালের সাথে বারি খাই আর বারি খাওয়ার সাথে সাথে কপালে চিন চিন ব্যাথা অনুভব করি . কপালে হাত দিয়ে দেখি কপাল থেকে রক্ত বের হচ্ছে . হঠাং শিলার এই ব্যবহার মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল আবার রাগ হচ্ছিল .
অন্যদিকে শিলা আমার দিকে চেয়ে দেখে তার দেওয়া ধাক্কার ফলে আমার কপাল ফেটে রক্ত পড়ছে, আমার কপালে রক্ত দেখে শিলা ভাবছে এটা আমি কি করলাম তাই শিলা তাড়াতাড়ি করে বিছানা থেকে নেমে আমার কাছে আসল. . .
শিলা – হাই আল্লাহ এটা আমি কি করলাম . আমি ইচ্ছা করে তোমায় আঘাত করিনি প্লিজ আমাই মাফ করে দাও . . . (আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল )
।
তারপর শিলা তাড়াতাড়ি করে ওষুধ নিয়ে আসল আমার কপালে লাগানোর জন্য , যেই শিলা আমার কপালে ওষুধ লাগাতে যাবে তখনি আমি শিলার হাত সরিয়ে দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসছিলাম . তখনি . . .
শিলা – কোথায় যাচ্ছ . . . ?
।
আমি – নিশ্ব:চুপ . . .
।
শিলা – আমি ইচ্ছে করে তোমায় আঘাত করিনি , প্লিজ আমায় মাফ করে দাও . . . (কেদে কেদে)
।
আমি শিলার কোনো কথা না শুনে বাড়ির বাইরে চলে আসলাম তারপর বাইরে থেকে কপালে ব্যান্ডেজ করে নিলাম তারপর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গেলাম , সারাদিন আড্ডা দিলাম. সারাদিন বাড়িরির বাইরে থাকলাম কারন শিলার প্রতি খুব রাগ হচ্ছিল তাই বাড়ি গেলাম না হঠাং রাত 11 টাই বুজতে পারলাম আমার পকেটে ফোনটা কাপছে . পকেট থেকে ফোনটা বের করে দেখি 300+ মিস কল এর মধ্যে 300টা শিলার নাম্বার আর বাকিগুলো আম্মুর . আবার ফোনটা বেজে ওঠল তাকিয়ে দেখি আম্মুর নাম্বার তাই তাড়াতাড়ি রিসিভ করলাম . . .
আমি – হালো আম্মু বলো. .
।
আম্মু – কয়টা বাজে বাড়ি আসা লাগবেনা কি . . .? (রাগী কন্ঠে)
।
আমি – হুম আসছি . . .
।
তারপর বন্ধুদের বিদাই দিয়ে বাড়ি আসলাম . বাড়ি এসে কলিংবেল বাজাতেই আম্মু দরজা খুলে দিল . . .
আম্মু – এই তুই কি শিলাকে কিছু বলেছিস . . . ?
।
আমি – না , কেন বলত. . .
।
আম্মু – জানিনা কেন মেয়েটা আজ সারাদিন কিছু না খেয়ে শুধু ঘরের দরজা বন্ধ করে কাদছে . আমি অনেকবার বললাম কি হয়েছে কিন্তু আমাই কিছু বলল না . .
।
আমি – শিলা এখন কোথাই . . .
।
আম্মু – ঘরেই আছে . . .
।
তারপর আমি ঘরের দরজার সামনে আসলাম .দরজার সামনে আসতেই শিলার কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম .
আমি – শিলা দরজা খুলো . . . (দরজা ধাক্কা দিয়ে )
।
আমার কথা শুনে শিলা দরজা খুলে দিল . তারপর আমি রুমে গেলাম . রুমে গিয়ে আমি অবাক হয়ে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে আছি কেননা ফ্লোরে রক্ত পড়েছিল আমি শিলার হাতের দিকে তাকানোর আগেই শিলা হাত লুকিয়ে ফেলল .
আমি – তোমার হাত দেখাও . . .
।
শিলা – নিশ্ব:চুপ হয়ে দাড়িয়ে আছে
।
আমি – তোমার হাত দেখাতে বলেছি . . .(ধমক দিয়ে )
।
আমার ধমক শুনে শিলা চমংকে উঠলো কিন্তু হাত দেখালো না তাই জোর করে হাত ধরে সামনে নিয়ে এসে যা দেখলাম তাতে আমার চোখ রাগে লাল হয়ে গেল . . .
.
.
.
Wait for next part . . .
Comments
Post a Comment