পিচ্চি বউ পর্ব - 10

# পিচ্চি বউ # Part – 10 % লেখক : রুবেল % তারপর রিয়ার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম . পরের দিন অফিসে যাওয়ার জন্য বের হচ্ছি হঠাং রাস্তাই দেখলাম রিয়া একটা ছেলের হাত ধরে রিকশাই বসে আছে … তাহলে কি রিয়া ওই ছেলের সন্তানের মা . তাহলে কি কাল রিয়া এটাই বোঝাতে চাইছিল কিন্তু তাহলে আমি পাপড়ির সাথে কথা বলাই ওরকম কেন করল . না আর ভাবতে পারছি না . রিয়াকে ছেলেটার সাথে দেখে বুকের বা পাশে চিন চিন ব্যাথা করতে লাগল , না চাইতেই চোখের পানি এসে গেল . কেন যেন খুব কষ্ট হতে লাগল তাহলে কি একেই বলে ভালোবাসা . পরে আবার ভাবলাম রিয়া যদি বিয়ে করে থাকে তবে তো ঠিক কাজই করছে . সে তো আমাই অনেক ভালোবাসত কিন্তু আমি তার ভালোবাসার মূল্য দিতে পারি নি .. এসব ভাবতে ভাবতে অফিসে চলে আসলাম ……. ম্যানেজার – স্যার আসব ………..? । আমি – আসুন ……….. । ম্যানেজার – স্যার আপনার তথ্য গেয়ে গেছি …… । আমি - কি কি জানতে পারছেন বলেন ….. (আগ্রহ নিয়ে) । ম্যানেজার – স্যার মিস রিয়া আমাদের অফিসের পাশেই একটা এলাকায় থাকে ……. । আমি – তার পরিবারে কে কে আছে ………….? । ম্যানেজার – শুধু মিস রিয়া তার ছোট মেয়ে আর একজন মহিলা …… । আমি – তার হাজবেন্ড , সে কোথায় থাকে ………….? ( বেশি আগ্রহ নিয়ে) । ম্যানেজার – শুনেছি তার হাজবেন্ড এখানে থাকে না . …. । আমি – ও … । ম্যানেজারের কথাই এখন আরো শিওর হলাম যে রিয়া আর আমার নেই . সে এখন অন্য কারো . কথাটা ভাবতেই চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসল … তখনি…………. ম্যানেজার – স্যার আপনি কাদছেন কেন …………….? । আমি – কিছু না , এখন আপনি আসুন , দরকার হলে আমি ডেকে নিব ………….( চোখ মুছতে মুছতে ) । তারপর ম্যানজার চলে গেল . আর আমি ভাবছি রিয়া যেহেতু ভুলে আবার নতুন করে শুরু করেছে তখন আমি আর তাকে বিরক্ত করব না . আর আমার মায়ায় জরাবো না তাকে . রিয়াকে রিয়ার মত থাকতে দিব . তারপর আমি র্ফ্রেস হয়ে অফিসটা ঘুরে দেখছিলাম কে কি করছে তখনি দেখি রিয়া তার এক ছেলে কলিংগের সাথে কথা বলছিল হঠাং খেয়াল করলাম রিয়ার হাত ধরে একটা ছোট পরির মত মেয়ে দাড়িয়ে আছে হয়তো এটাই রিয়ার মেয়ে হবে . কিন্তু মেয়েটা আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে কেন . মনে হচ্ছে সে আমায় আগে থেকে চিনে. আমারও কেন যেন মেয়েটাকে দেখে মায়া হতে লাগল. হঠাং রিয়ার মেয়েটা – আ্..ব্বু… আ…ব্বু…. (আমার কাছে এসে পা জড়িয়ে বলল) । আমি মেয়েটার কথা শুনে অবাক হলাম মেয়েটা আমায় কেন আব্বু ডাকছে . হয়ত রিয়ার হাজবেন্ড দেখতে আমার মত তাই মেয়েটা আমাকে তার বাবা ভাবছে কিন্তু একটা কথা খেয়াল করলাম মেয়েটার মুখে আব্বু ডাক শুনে আমার সব কষ্ট শেষ হয়ে গেল ….. তখনি …… রিয়া – মায়া তুমি এখানে কি করছ ………..? (আমার কাছে রিয়া তার মেয়েকে দেখে মনে হয় ভয় পেয়ে গেছে কেন সেটা বুঝতে বুঝতে পারছিনা ) । মায়া হলো রিয়ার মেয়ের নাম । মায়া – আম্মু . আ….ব্বু …. আ….ব্বু ( আমাকে দেখিয়ে) । রিয়া – মায়া ওনি তোমার আব্বু না , তুমি আমার কাছে আস ……….. । তারপর রিয়া মায়াকে জোর করে আমার কাছ থেকে নিয়ে গেল …… এভাবেই চলছিল আমার আর রিয়ার জীবন এখন আর রিয়ার সাথে বেশি কথা বলি না দরকার ছাড়া . এভাবে কেটে গেল দুইমাস . বাসা থেকে আব্বু আম্মু রিয়াকে নিয়ে বাসায় যেতে বলছে অনেক বার তাদের কি করে বলি যে রিয়া আর তাদের বউমা নেই এখন সে অন্য কারো সন্তানের মা . আজ সকালে অফিসে গিয়ে আমি অবাক কারন রিয়া আমায় ছেড়ে আসার পর আজ প্রথম তাকে শাড়ি পড়তে দেখলাম . শাড়িতে তাকে একদম পরির মত লাগছিল . কিন্তু কষ্ট একটাই এই পরিটা এখন আর আমার নাই এখন সে অন্য কারো (কথাটা ভাবতেই চোখে পানি চলে আসল ) কোন রকমে নিজেকে সামলে চোখের পানি মুছে আমার কেবিনের দিকে যাচ্ছিলাম তখনি ……. পাপড়ি – স্যার আপনি কাদছেন কেন ……………? । পাপড়ির কথাই রিয়া আমার দিকে তাকালো , আর তখনি মায়া আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরে বলল…… মায়া – তু…মি …. কাদছ … কেন …… তোমায়……. কি ……..কেউ ……মেরেছে……..? । আমি – না. আসলে আমার এক আপন জন আমায় ছেড়ে চলে গেছে তাই কাদছি …… (মায়াকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললাম ) । মায়া – তু …..মি ……..কি ……..তা……কে ……ভা…..লো……বা…….স ……….? । আমি – হুম , অনেক ……. । তখনি …… রিয়া – মায়া তোমায় না বলছি অচেনা কারো সাথে কথা বলবা না …………….?( রাগি চোখে ) । মায়া – আমি তো ওনাকে চিনি …… তুমি তো বলেছ ……….( কথাটা বলতে পারল না তার আগেই রিয়া বলল) । রিয়া – চুপ তুমি যদি আমার কথা না শুন তাহলে তোমায় আর আমার সাথে অফিস এ আনব না ……… ( ধমক দিয়ে ) । রিয়ার কথা শুনে মায়া কান্না করতে করতে চলে গেল রিয়ার কেবিনে … আমি – মায়াকে ওভাবে না বললেও পারতে …………….? । রিয়া - মায়া আমার মেয়ে তাই আমি ওকে যা ইচ্ছা তাই বলতি পারি তাতে আপনার কি ……… । আমি –ঠিক বলেছ না আমার কিছু না . দু:খিত আমি বুঝতে পারিনি . . . . . (কথাটা বলেই চলে আসছিলাম তখনি .) । রিয়া – শুনুন ………… । আমি – হুম বলেন ………….? । রিয়া – আপনার কি হয়ছে ………? আপনাকে এমন লাগছে কেন ………..? । আমি – কেন আমার আবার কি হবে . আমি ঠিক আছি . কেন বলুনত ……………( মিথ্যা হাসি দিয়ে ) । রিয়া – আমার থেকে লুকিয়ে লাভ নেই কি হয়ছে বলুন ………….? । আমি – কয়েক বছর আগে আমার এক আপন মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছিলাম তো হয়ত তার শাস্তি দিচ্ছে আামর আল্লাহ তাই হয়ত এমন লাগছে ……..(কথাটা বলেই চলে আসলাম , আসার সময় খেয়াল করলাম রিয়ার চোখে টলমল করছে) । তারপর আমি আমার কেবিনে চলে এসে র্ফ্রেস হয়ে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম ……… অন্যদিকে রিয়া তার কেবিনে গিয়ে দেখে মায়া মাথা নিচু করে কান্না করছে … রিয়া – আম্মু তুমি কান্না করছ কেন ………….? । মায়া – তুমি আমায় আম্মু ডাকবে না . তুমি খুব পঁচা তুমি আমায় আমার আব্বুর কাছে যেতে দাওনা . . . . (কান্না করতে করতে বলল) । রিয়া তার মেয়েকে বুকে জড়িয়ে কাদতে লাগলো আর বলল তুমি তোমার আব্বুর কাছে যাবে কিন্তু এখন না . মায়া – না আমি এখনি আব্বুর কাছে যাব ……. । রিয়া – আম্মু জিদ করে না……….. । মায়া – না আমি যাব ………. রিয়া – ঠাসসসস্ ঠাসসসস্ . আমি না করছি না . আরো যেতে চাইবে ……..?( রেগে মেগে ) । মায়া – তুমি পঁচা . আমি তোমর কাছে থাকব না . আমি আব্বুর কাছে চলে যাব . . .(কাদতে কাদতে ) । এভাবেই সারাদিন চলে গেল . তারপর আমি আমার বাড়িতে চলে আসলাম (এখন আমি সিলেটে একটা বাড়ি কিনেছি ). আর রিয়া মায়া চলে গেল তাদের বাসায় . আমি বাসায় এসে র্ফ্রেস হয়ে খেয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবছি রিয়া আর মায়ার কথা . তাদের কথা ভাবতে ভাবতেই রাত পার হয়ে গেল . সকালে একটা অচেনা ফোন থেকে কল আসল . ফোনটা রিসিব করতেই ফোনের ওপাশ থেকে কান্নার আওয়াজ গেলাম . আমি – হালো কে বলছেন …………..? । ফোনের ওপাশ থেকে শুধু কান্নার আওয়াজ পাচ্ছি … । আমি – কে বলছেন … প্লিজ কথা বলেন ………….? । রিয়া – আমি রিয়া …..( কাদতে কাদতে ) । আমি – রিয়া তুমি কাদছ কেন …………( ভয় পেয়ে ) । রিয়া – আরও জোরে কাদতে লাগলো ……. । আমি – কি হয়ছে বলল . প্লিজ কেদ না . . . । রিয়া – তুমি কি আমার বাড়িতে একটু আসতে পারবে …………?( কাদতে কাদতে ) । আমি – কিন্তু আমি তো জানি না তোমার বাসা কোথায় …………? আর কি হয়ছে বল আমায় ………..? । রিয়া – আমি আমার বাসার ঠিকানা পাঠিয়ে দিচ্ছি তুমি যত তাড়াতাড়ি পার চলে আস ……..( কাদতে কাদতে ) । আমি – ওকে আমি আসছি …. । তারপর রিয়ার দেওয়া ঠিকানা নিয়া বের হয়ে পড়লাম . আজ যেন কেন গাড়িটাও তাড়াতাড়ি চলতে চাচ্ছে না . অনেক কষ্টে 20 মিনিট পর রিয়ার বাসার সামনে এসে দাড়ালাম . দরজায় কলিংবেল বাজাতেই ……………………. . . গল্পটা কি Happy ending দিব নাকি sad ending দিব . . . মন ভালো না তাই ভালো ভাবে লেখতে পারিনি তাও কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন ……………. . . Wait for next part …………..

Comments

Popular posts from this blog

অবহেলার শেষ পরিণতি পর্ব - 05

অবহেলার শেষ পরিণতি পর্ব - 06

অবহেলার শেষ পরিণতি পর্ব - 04