পিচ্চি বউ পর্ব - 12
# পিচ্চি বউ #
Part – 12
% লেখক : রুবেল %
তারপর আমি তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বেড়িয়ে পড়ি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য . হাসপাতালে গিয়ে দেখি আব্বু আম্মু রিয়ার কাছে বসে আছে . আর রিয়া মাঝে বসে কাদছে . রিয়া কেন কাদছে সেটা বুঝতে পারলাম না . আমি কেবিনে ঢুকতেই আমায় দেখে আব্বু আমার কাছে আসল আর তখনি ….
ঠাসসস্ ঠাসসস্ …………..
আমি গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছি . আব্বু আমায় কেন মারল কিছু বঝতে পারছি না .
আমি – আব্বু …………. (অর কিছু বলার আগেই আব্বু বলল)
।
আব্বু – চুপ তুই আমায় আব্বু বলবি না ………….( রাগে চোখ লাল করে )
।
আমি – কেন …….? আমি আবার কি করলাম ……………?
।
আম্মু – কি করিসনি তুই তাই বলল………….
।
আব্বু ও আম্মুর কথাই আরও অবাক হলাম
আমি – কিন্তু আমি করেছিটা কি ……………?( অবাক হয়ে )
।
আব্বু – তোর জন্য একবার আমরা আমাদের মেয়ের মত বউমাকে হারিয়েছি . তুই কি আবার আমাদের মেয়ে হারা করতে চাস ……………..?
।
আমি – আমি তোমাদের কথার কিছুই বুঝতে পারছি না একটু বুঝিয়ে বলবা……………?
।
আব্বু – তোর বউ আর মেয়ে হাসপাতালে আর তুই তাদের ফেলে কাজের পিছনে পড়ে আছিস . তোর কি ওদের প্রতি কোন দায়িত্ব নেই . . .?
।
রিয়া – আব্বু আসলে ……… (রিয়া আর কিছু বলতে পারল না তার আগেই আব্বু বলল)
।
আব্বু – থাক মা তোকে আর কিছু বলতে হবে না. আর এই যে মি . রুবেল আমরা একবার আমাদের মেয়েকে হারিয়েছি তাই হারাতে পারবনা তাই যতদিন আপনি আপনার বউ আর মেয়ের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে না শিখবেন ততদিন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না .আর হা আমরা আমাদের মেয়ে আর নাতিকে নিয়ে তাদের বাসায় যাচ্ছি যে দিন একজন দায়িত্ববান স্বামী আর বাবা হতে পারবেন সেদিন আসবেন তার আগে না . এখন আপনি আসতে পারেন .
।
আমি – আব্বু আমার কথাটাত শুনও
।
আব্বু – না আমি আপনার কোন কথা শুনতে চাইনা ………..
।
আমি – আম্মু তুমিত একটু আব্বুকে বুঝাও ………..( ভেজা গলায় )
।
আম্মু – কি বুঝাব , আমরাত নিজের চোখেই এসে দেখলাম . রিয়া আর মায়া কিছু না খেয়ে বসেছিল আর তুই অফিসে কাজ করছিলি . তোর বাবা ত ঠিকি বলেছে ………..
।
আমি – ঠিক আছে তোমরা চাওনাত আমার কাছে থাকতে ওকে থাকতে হবে না আমি একাই থাকব …. (চোখ মুছতে মুছতে )
।
চলে আসতে যাব তখনি দেখলাম আব্বু – আম্মুর পাশে রিয়া মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে .
আমি – কি মিস রিয়া এখন খুশিত . আমার থেকে আপনি প্রথমে আমার মেয়েকে সরিয়ে নিলেন আর এখন আমার আব্বু – আম্মুকে . আজ আপনাকে আমার সব দিয়ে গেলাম ভালো থাকবেন … (কেদে কেদে)
কথাটা বলেই হাসপাতাল থেকে চলে আসছিলাম তখন রিয়া পিছন থেকে ডাকছিল কিন্তু আমি না শুনে গাড়িতে এসে বসলমা .
অন্যদিকে …..
আব্বু – রিয়া মা চল দাদুভাইকে নিয়ে বাসায় যায় …….
।
রিয়া – আব্বু তোমাদের আমার কিছু বলার আছে ………?
।
আব্বু – সব শুনব আগে এখন বাসায় চল ……….
।
তারপর তারা বাসায় চলে গেল . তারপর আমিও অফিসে গেলাম কিন্তু অফিসে কাজে মন বসাতে পারলাম না তাই বাড়ি ফিরে গেলাম র্ফ্রেস হয়ে কিছু খেলাম . খাওয়ার পর আব্বু আম্মুর কথাগুলোম ভাবছি . তাদের কাছে কি তাদের ছেলের থেকে বউমা বেশি আপন . হয়ত ,তাইত এমন করল আমার সাথে এসব ভাবতে ছিলাম তখনি হঠাং রিয়ার ফোন আসল প্রথমে ধরলাম না তারপর আরও কয়েকবার দিল তার পর বিরক্ত হয়ে ধরলাম …………
আমি – হালো , কি হয়েছে এতবার ফোন দিতেছেন কেন . আরও কিছু নেওয়ার আছে কি আমার থেকে.…………….?
।
রিয়া – sorry আমি অনেকবার আব্বু আম্মুকে বলতে চাইছি কিন্তু তারা আমার কোন কথাই শুনতে চাইনি ….
।
আমি – আসলে আমার কপাল খারাপ তাই সবাই আমাকে ছেড়ে চলে যায় . যাই হোক আপনাকে একটা খুশির খবর দেওয়ার আছে …………….?
।
রিয়া – কি খবর ………..( অবাক হয়ে )
।
আমি – আপনারাত চান আমি আপনাদের জীবনে না থাকি তাই আমি ঠিক করছি দেশ ছেড়ে চলে যাব . শুধু একটা অনুরোধ আপনার কাছে আমার মেয়েকে কখনো কষ্ট দিয়েন না ……………… (কেদে কেদে)
।
রিয়া – কি ওল্টা পাল্টা বলছ …………….? আমাদের ছেড়ে তোমার মেয়েকে ছেড়ে তুমি যেতে পারবে ……… ?
।
আমি – আমিত যেতে চাইনি কিন্তু আপনারা আমাই চাননা তাই চলে যাচ্ছি ……. (কথাটা বলেই ফোন কেটে দিলাম )
।
আমি ফোন রাখতেই রিয়া আবার ফোন দিল তাই রাগে আর অভিমানে ফোন বন্ধ করে দিলাম . আমার ফোন বন্ধ পেয়ে রিয়া ভয়ে কাদতে লাগল এ ভয় হল কাছের মানুষকে হারানোর ভয় . রিয়া রুমে দিয়ে বসে বসে কাদছিল তখনি ……….
মায়া – আম্মু তুমি কাদছ কেন কি হয়েছে …………?
।
রিয়া – তোমার আব্বু আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ………….(বলেই কাদতে লাগলো)
।
মায়া – আব্বু আমাদের ছেড়ে কোথায় যাবে ……….?
।
রিয়া – তোমার আব্বু আমাদের ছেড়ে অনেক দুরে চলে যাবে ……….
।
তখনি হঠাং আব্বু আর আম্মু রিয়া আর মায়ার কাছে আসল
আব্বু – রিয়া মা কি হয়েছে তোর তুই কাদছিস কেন ……..? রুবেল কিছু বলেছে তোকে ……….?
।
আম্মু – রুবেল কি তোকে বকেছে ……….? দারা আমি রুবেলকে ফোন দিয়ে মজা দেখাচ্ছি …….
আম্মু আমার ফোন এ ফোন দিল কিন্তু আমার ফোন বন্ধ পেল …
।
রিয়া - রুবেলকে ফোন দিয়ে লাভ নেই . রুবেলের ফোন বন্ধ . . . .
।
আব্বু – হারামজাদাটা তোকে কি বলেছে বল আমাই তারপর দেখ আমি ওর মজা দেখাচ্ছি…………
।
রিয়া – না আব্বু তোমরা রুবেলকে কিছু বলবেনা . . . . (কেদে কেদে)
।
আব্বু – কেন …………….?
।
রিয়া – কারন তোমরা ভুল জান . আর রুবেলকে ভুল বুঝছ . তোমরা রুবেলকে যা ভাবছ আসলে রুবেল সেরকম না ………..
।
আব্বু – মানে ………..?
।
রিয়া – মানে হল মায়াকে আমি না রুবেল হাসপাতালে নিয়ে গেছিল আর রুবেল হাসপাতালে থাকতে চাইছিল কিন্তু আমি জোর করে ওকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম আর ও আমার আর মায়ার জন্য খাবার নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইছিল কিন্তু আমি তাকে ভয় দেখিয়ে আসতে মানা করি .( বলেই কাদতে লাগলো)
।
আব্বু – কিন্তু কেন……….? কেন রুবেলকে তোদের পাশে থাকতে দিসনি ……………?
।
রিয়া – আমি ভাবছিলাম আমি চলে আসার পর রুবেল হয়ত রাইসাকে বিয়ে করেছে তাই ওকে আমাদের পাশে থাকতে দেইনি ………….( কাদতে কাদতে )
।
আব্বু – আরে পাগলি হয়ছে আর কাদতে হবে না . আসলে আমার পাগল ছেলেটা তোকে খুব ভালোবাসে তাই তুই ওকে যতই দুরে ঠেলে দেসনা কেন ও তোকে ছাড়বে না. জানিস তুই চলে আসার পর আমি আর তোর আম্মু অনেকবার ওকে বলেছি আবার বিয়ে করতে কিন্তু পাগলটা কি বলত জানিস সে নাকি তোর স্মৃতি নিয়ে বাচতে চাই তোর জায়গা নাকি আর কাওকে দিতে পারবে না ………
।
আব্বুর কথা শুনে রিয়া আরও কাদতে লাগলো . . .
আব্বু – কি হল আবার কাদছিস কেন …………..?
।
রিয়া – আব্বু আমার ভুল হয়ে গেছে . আমি রুবেলকে ছাড়া বাচতে পারব না . তুমি আমার রুবেল কে এনে দেও ……………?
।
আব্বু – আরে পাগলি মেয়ে রুবেল তোরই আছে দেখবি রাগ কমলে আবার আমাদের কাছে চলে আসবে …………?
।
রিয়া – না আব্বু ও আর আসবে না. তোমার ছেলে আমাদের চেড়ে চলে যাচ্ছে ………….(আব্বুকে জরিয়ে ধরে কাদতে কাদতে )
।
আব্বু – মানে কোথায় যাচ্ছে …………..?
।
রিয়া – রুবেল নাকি বিদেশে চলে যাবে ……………( কাদতে কাদতে )
।
আব্বু – কি . তুই চিন্তা করিসনা মা আমি ওই পাগলটা তোর কাছে এনে দিব . এখন কান্না থামা মা .
।
সেদিন সারাদিন আমার ফোন বন্ধ ছিল তাই পরিবারের কেউ ফোন করে আমাই ফোনে পাই নি . অন্যদিকে আমার চিন্তাই রিয়া সারা রাত ঘুমাতে পারল না. . পরের দিন সকালে ……………..
.
.
.
আবার আসছে সেই গল্প অবহেলিত ভালোবাসা 2 যদি পড়তে চান কমেন্ট করে জানাবেন ……
.
.
আমার পার্সোনাল সমস্যার কারনে পর্বটা দিতে দেরি হল তার জন্য আমি দু:খিত
.
.
Wait for next part …………………….
Comments
Post a Comment