অবহেলার শেষ পরিণতি পর্ব : ৮ (শেষ)
অবহেলার শেষ পরিণত
পর্ব : ৮ (শেষ)
নাজমুল আমার ফোন পেয়ে তাড়াতাড়ি করে কলেজের মাঠে চলে আসলো আর এসে...
নাজমুল = হাসান রিয়ার খুব বিপদ..?
।
আমি = কি বলছিস তুই... (অবাক হয়ে)
।
নাজমুল = হ্যা ভাই আজ কলেজে আসতেই রাসেল যা বললো... (হাপাতে হাপাতে)
।
আমি = কি বলেছে রাসেল বল আমায়...
।
নাজমুল = রাসেল বলেছে ও নাকি আজ রিয়ার সাথে রুম ডেট করবে...
।
আমি = না এটা হতে পারেনা, আমি বেচে থাকতে রিয়ার এতো বড় ক্ষতি আমি হতে দিবোনা...
।
নাজমুল = এখন তাহল কি করবি...?
।
আমি = যা করার তাই করবো। তার আগে বল রিয়া কি জানে যে রাসেল তার সাথে রুম ডেট করতে চায় বা রিয়া কি রাসেলের সাথে রুম ডেট করতে রাজি হয়েছে...?
।
নাজমুল = রাজি কি বলছিস, রিয়াতো জানেয়না যে রাসেল ওর সাথে আজ এরকম কিছু করবে . আমি রাসেলের এক বন্ধুর মুখে শুনলাম রাসেল নাকি রিয়াকে পাটির কথা বলে নিয়ে তারপর রিয়াকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তারপর এসব করার চিন্তা ভাবনা জরছে....
।
আমি = আমার মাথা কাজ করছেনা। তুই এক কাজ কর কলেজে রিয়াকে খুজ। আমিও খুজি যেভাবেই হোক রিয়াকে রাসেলের হাত থেকে আমায় বাচাতেয় হবে নয়লে নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবোনা....
।
নাজমুল = ওকে আমি এদিকে দেখছি তুই ওদিকে দেখ.....
।
তারপর দুজনে মিলে পুরো কলেজে রিয়াকে খুজলাম কিন্তু কোথাও পেলাম না যখন রিয়াকে কোথাও খুজে পাচ্ছিলাম না তখন খুব ভয় হতে লাগলো। সব খারাপ চিন্তা ভাবনা মাথায় গুরপাক খেতে লাগলো। রিয়ার কথা ভাবছিলাম তখনি....
।
নাজমুল = না ভাই কলেজের কোথাও রাসেল অথবা রিয়াকে পেলাম না (হতাশ হয়ে বললো)
।
নাজমুলের কথা শুনে ভয়ে বুক কাপতে লাগলো, কেন জানি নিজেকে খুব অসহায় লাগছিলো মনে হচ্ছে আমার কাছ থেকে কেউ আমার সবচেয়ে দামি জিনিসটা ছিনিয়ে নিচ্ছে।
।
আমি = আচ্ছা নাজমুল একটু ভেবে বলত যখন রাসেল তোকে কথাগুলো বলছিলো তখন কি কোনো জায়গার নাম বলেছিল...?
।
নাজমুল = নারে ভাই রাসেল শুধু ওই কথাগুলোই বলেছিল, কোনো জায়গার কথাত বলেনি...
।
নাজমুলের কথা শুনে এখন চোখে ঝাপসা দেখছি
এখন রিয়াকে আমি কিভাবে বাচাবো রাসেল রিয়াকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে কিছু বুঝতে পারছিনা। এসব কথা ভাবছিলাম তখনি...
।
তানিয়া = কি হয়েছে ভাইয়া তোমায় এত চিন্তিত মনে হচ্ছে কেন...?
।
আমি = ওসব কথা পরে বলবো আগে বলো রিয়া কোথায়...?
।
তানিয়া = কেন ভাইয়া কিছু কি হয়ছে...?
।
আমি = তুমি আগে বলো রিয়া কোথায় তুমি কি জানো...?
।
তানিয়া – হুম জানিত …….
।
আমি – কোথাই রিয়া বলল আমায় তাড়াতাড়ি ,রিয়ার খুব বিপদ আমায় ওকে বাচাতেই হবে ………
।
তানিয়া – রিয়াত বাড়িতে গেল রাসেল নাকি রিয়াকে নিয়ে আজ পার্টিতে যাবে তাই রিয়া বাড়িতে গেল রেড়ি হতে . কেন কি হয়েছে ……………….?
।
তারপর তানিয়াকে রাসেল এর সব কথা বললাম .
আমি – ওকে তুমি বাড়ি যাও আমি আর নাজমুল রিয়ার বাড়ি যাচ্ছি ………….
।
তানিয়া – রিয়ার বাড়িতে গিয়ে লাভ নাই রিয়া তোমাই ঘৃনা করে . ও তোমার কথা বিশ্বাস করবে না. রিয়া রাসেল এর প্রেমে অন্ধ হয়ে গেছে . তাই রাসেল যে ওর ক্ষতি করতে পারে এটা ভাবতেই পারেনো . তুমি গিয়ে এগুলো বললে রিয়া আরও তোমাই অপমান করবে খারাপ খারাপ কথা বলবে . তুমি যেও না.
।
আমি – আমি জানি রিয়া আমাই পছন্দ করে না ও আমাই ঘৃনা করে . তাও আমিত ওকে ভালোবাসি আর যাকে ভালোবাসি তার ক্ষতি হবে জেনেও কিভাবে বসে থাকি বলও. যাই হয়ে যাক প্রয়োজন হলে আমার জীবন দিয়ে হলেও আমি রিয়ার কোন ক্ষতি হতে দিব না. আর আমি বেচে থাকতে কেউ রিয়ার কোন ক্ষতি করতে পারবে না.
।
তারপর তানিয়াকে বলে নাজমুল আর আমি রিয়ার বাসার দিকে আসতে লাগলাম রাস্তাই কোন গাড়ি পাচ্ছিলাম না তাই হেটে আসতে লাগলাম . প্রায় এক ঘণ্টা পর রিয়াদের বাড়ির গেটের সামলে এসে পৌছালাম .বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই দেখলাম রিয়া বের হচ্ছে ……
আমি – রিয়া আমার কিছু কথা আছে আপনার সাথে ………….?
।
রিয়া – আমি আপনার কোন কথা শুনতে চাইনা…….
।
আমি – প্লিজ রিয়া আমার কথাগুলো একটা বার শুন নইলে তোমার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে ……….. (মাটিতে হাটু গেড়ে বসে হাত জোড় করে বললাম)
।
রিয়া – যা বলার তাড়াতাড়ি বলেন আমাই যেতে হবে রাসেল আমার জন্য অপেক্ষা করছে ……….
।
আমি – প্লিজ রিয়া তুমি রাসেল এর সাথে পার্টিতে যেওনা , পার্টিতে গেলে রাসেল তোমার ক্ষতি করবে …………( হাত জোড় করে )
।
রিয়া – আপনার মাথা ঠিক আছে …….? রাসেল আমাকে ভালোবাসে আর আমিও ওকে ভালোবাসি তাহলে ও আমার ক্ষতি করবে কেন………….?
।
আমি – রাসেল তোমাই ভালোবাসেনা . রাসেল শুধু তোমার শরীরকে ভালোবাসে . আর আজ যদি তুমি রাসেল এর সাথে যাও তাহলে রাসেল তোমাই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রুম ডেট করবে আর কাল থেকে তোমাই ভুলে যাবে .
।
কথাটা বলতেই ………..
ঠাসসস্ ঠাসসস্ ঠাসসস্ (হ্যা রিয়া আবার আমাই হাপ্পড় মারলো)
রিয়া – কুত্তার বাচ্চা , জানোয়ার তোর সাহস হল কি করে রাসেল এর সর্ম্পকে এসব বাজে কথা বলার . তুই কি ভাবিস তোর মত সবাই তুই যে রকম চরিত্রহীন বাবা- মার চরিত্রহীন ছেলে সে রকম সবাইকে ভাবিস …………….? তুই যে আমাই এসব কথা বলতে পারিস এটা রাসেল আগেই বুঝতে পারছিল তাই আমাকে সাবধান করে দিছিল আর শোন রাসেল আমার বয়ফেন্ড ভবিষ্যতে আমার স্বামী হবে তাই আমি ওর সাথে কি করব না করব সেটা আমার আর রাসেল এর ব্যাপার . তোকে তা নিয়ে মাথা গামাতে হবে না আর কখনো যদি তুই আমাদের মাঝে আসার চেষ্টা করিস তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেও হবে না বুঝলি ……………..( রাগে কটমট করতে করতে কথাগুলো বলল )
।
রিয়া কথাগুলো বলে আমাই লাথি মেরে চলে গেল . এদিকে আমি আর নাজমুল রিয়ার কথাগুলো শুনে অবাক হয়ে আছি . আমার চোখ দিয়ে না চাইতেও পানি আসল কারন আজ আমার জন্য আমার বাবা-মাকেও বাজে কথা শুনতে হল . আজ নিজেকে নিজে শেষ করে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছে কারণ আমি একটা অপর্দাথ ছেলে . তাই সেখান থেকে ওঠে রাস্তা দিয়ে হাটতে লাগলাম পিছন থেকে নাজমুল অনেক ডেকেছে কিন্তু আমি না শুনে হাটতে লাগলাম . সারাদিন রাস্তা দিয়ে শুধু গুরছি যখন সন্ধা হল তখন রিয়ার কথা মনে পড়তেই রাসেলের একবন্ধুকে ফোন দিলাম আর জেনে নিলাম তারা কোথাই আছে . সেখানে যাওয়ার জন্য রাস্তা দিয়ে দৌড়াছি হঠাং কয়েকজন ছেলে সামনে এসে দাড়ালো. . . .
ছেলেগুলো – কিরে হিরো সেদিনত ওই দুইটা মেয়ের সামনে খুব মেরেছিলি . আজ কোথাই যাবি ……….?
।
আমি – ভাই প্লিজ আমাই যেতে দে ,আমার ভালোবাসার মানুষের খুব বিপদ . আমি কথা দিচ্ছি আমি আমার ভালোবাসার মানুষকে বাচিয়ে এসে তোদের হাতে নিজেকে তুলে দিব তাও প্লিজ এখন আমাই যেতে গে . এখন না যেতে পারলে আমার ভালোবাসার মানুষটির ক্ষতি হয়ে যাবে ……….
।
আমি ওদের অনেক রিকুয়েস্ট করলাম কিন্তু ওরা আমার কথা শুনলো না. না শুনে তারা আমাই মারতে লাগলো . মার খেতে খেতেও অনেক বার রিকুয়েস্ট করলাম কিন্তু তারা তাও মানলো না . তারাতাদের মত মারতে লাগলো আর আমি একসময় ঙ্গান হারালাম যখন ঙ্গান ফিরল তখন দেখি আমার সারা শরীর দিয়ে রক্ত পড়ছে . নাক ,মুখ দিয়েও রক্ত আসছে তাও অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে কোনো রকমে ওঠে দাড়ালাম . হাটতে পারছি না তাও হাটতে লাগলাম একসময় আর শরীর এ শক্তি পাচ্ছিলাম না তাই একটা লাঠি নিয়ে তার ওপর ভর করতে করতে যেখানে রিয়া আছে সেখানে গেলাম . গিয়ে দেখি রাসেল রিয়াকে ঘুমের টাবলেট খাইছে এখন রিয়াকে রুমে নিয়ে যাচ্ছে তখন কোন রকমে রাসেল এর পিছনে গিয়ে লাঠি দিয়ে রাসেলকে মারতে লাগলাম . যদিও শক্তি পারছিলাম না . তাও শরীর এর সব শক্তি দিয়ে মারতে লাগলাম . আমার মার খেয়ে রাসেল একসময় অঙ্গান হয়ে গেল তখন আমি রিয়াকে কুলে করে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম . এখন রাস্তা দিয়ে হাটছি রিয়া আমার কোলে বাচ্চার মত গুমাচ্ছে কিন্তু আমার শরীর এর শক্তি কমতে লাগলো হাটতে কষ্ট হচ্ছিল হঠাং চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে গেল আর একটা গাড়ি এসে ধাক্কা দিয়ে দিল সাথে সাথে রিয়া আমার কোল থেকে রাস্তার পাশে পড়ে গেল আর গাড়িটা আমার ওপর দিয়ে চলে গেল . আমি রাস্তার মাঝখানে পড়ে আছি আর রিয়ার দিকে তাকাচ্ছি রিয়াকে ডাকার চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না. আমার দম আস্তে বন্ধ হতে লাগলো . আর একসময় আমি রিয়ার শেই মায়াবি চেহারা দেখেই চোখ বন্ধ করলাম .
অন্যদিকে কিছু লোক আমাই আর রিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখানে আমার আর রিয়ার বাবা – মা আসে . ডাক্তার আমার বাবা – মাকে বলে ……..
ডাক্তার – আমরা দু:খিত আপনাদের ছেলেকে আমরা বাচাতে পারলাম না . অনেক রক্ত ক্ষরনের জন্য তাকে আর বাচানো সম্ভব হলনা.
।
ডাক্তারের কথা শুনে আমার পরিবার এর সবাই ভেঙ্গ পড়ল পড়ে গেল কান্না কাটির ভিড় .
অন্যদিকে রিয়া চোখ খুলে দেখে সে হাসপাতালে তারপর তার কাল রাতের কথা মনে পড়ে . তাকে রাসেল একটা শরবত খাওয়ায় আর তার পর তারমাথা গুরাতে শুরু করে . সে তখন ভাবতে থাকে তাহলে কি হাসান সত্যি বলছিল . রাসেল কি তাহলে সত্যি আমাই ভালোবাসেনা.সেদিনই রিয়াকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় . এদিকে আমাকে আমার পরিবার গোসল করিয়ে মাটি দেওয়ার জন্য তৈরি করছে .তারপর একসময় সবাই মিলে আমায় আমার আপন ঘরে দিয়ে আসে .
অন্যদিকে 3দিন ধরে রাসেল আর রিয়ার সাথে কথা বলে না রিয়াকে অবহেলা করতে শুরু করে তখন রিয়া বুঝতে পারে রাসেল তাকে ভালোবাসেনা . তখন সে খেয়াল করল হাসান নামের চরিত্রহীন ছেলেটা আর কলেজে আসেনা আর তাকে জালাই না . তাই রিয়া তানিয়াকে নাজমুলকে খুজতে লাগলো . খুজতে খুজতে দেখলো নাজমুল আর তানিয়া মন মরা হয়ে বসে আছে রিয়া তাদের কাছে গেল ……
রিয়া – তানিয়া তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে………..?
।
তানিয়া – আমার আপনার সাথে কোন কথা নেই আর আপনি কখনো আমার সাথে কথা বলার চেষ্টাও করবেন না.
।
রিয়া – কিন্তু কেন . . .?
।
তানিয়া – সেটা জানার যোগ্যতা আপনার নেই আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষ মানে রাসেল এর সাথে কথা বলেন তাতে আপনা ভাবিষ্যত ভালো হবে এখনত আর আমার ভাই আপনাদের বিরক্ত করতে আসেনা……… (কাদতে কাদতে কথাটা বলেই চলে গেল)
।
রিয়া – নাজমুল ভাই আপনি একটু আমাই বলবেন আপনার বন্ধু হাসান কোথাই সে কলেজে আসেনা কেন …………..?
।
নাজমুল – এখন আর আমার বন্ধুর খুজ করে কি করবেন . সে যখন আপনার কাছে ছিল তখন তো অবহেলা আর অপমান ছাড়া কিছু দিতে পারেন নাই তা এখন কি প্রয়োজন আরও কি অবহেলা আর অপমান করার বাকি আছে………………? (কথাগুলো বলতে গিয়ে নাজমুল এর চোখে পানি চলে আসল )
।
রিয়া – প্লিজ ভাইয়া এভাবে বলবেন না আমি আমার ভুলটা বুঝতে পারছি . প্লিজ আমাই বলেন হাসান কোথা ই আমি শুধু একবার হাসান এর সাথে দেখা করতে চাই প্লিজ……….( ভেজা গলাই )
।
নাজমুল – জানেন আমি ভাবতাম আপনি হয়ত বুদ্ধিমান কিন্তু আমি ভুল ছিলাম আপনি হলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বোকা আর অবাগি যে কিনা নিজের জন্য সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষকে হারিয়েছেন ….. (কাদতে কাদতে )
।
রিয়া – ভাইয়া আপনি কাদছেন কেন ………? আর হাসান কোথাই …………?
।
নাজমুল – জানতে চান হাসান কোথাই আর আমি কাদছি কেন……….?
।
রিয়া – হুম ….
।
তারপর নাজমুল রিয়াকে আমার বাড়ি নিয়ে গেল . কলিংবেল বাজাতেই আম্মু দরজা খুলে দিল . দরজা খুলে রিয়াকে দেখতেই আম্মুর চোখে পানি চলে আসল . তারপর আম্মু রিয়াকে আমার রুমে নিয়ে গেল . রিয়া রুমটা দেখে খুব অবাক হল কারন পুরো রুমে শুধু রিয়ারি ছবি টাগানো . ….
রিয়া – আন্টি হাসান কোথাই …………?
।
আম্মু – এসো আমার সাথে (কাদতে কাদতে )
।
তারপর আম্মু রিয়াকে বাড়ির পিছনে আমার কবরের সামনে নিয়ে আসল আর বলল………..
আম্মু –এই যে দেখছ কবরটা এখানেই হাসান ঘুমিয়ে আছে ..
।
আম্মুর কথাই রিয়ার মাথাই আকাশ ভেঙ্গে পড়ল . রিয়ার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো.
তখন নাজমুল রিয়াকে সব বলল রিয়াকে বাচাতে গিয়ে আমি কিভাবে এই পৃথিবী ছেড়েছি . রিয়া সব শুনে সেখানেই বসে কাদতে লাগলো আর হাসান হাসান বলে ডাকতে লাগলো কিন্তু আজ আর হাসান তার পাশে আসছে না . হাসান চলে গেছে তাকে সারাজীবনের মত মুক্তি দিয়ে . আর কখনো হাসান নামের কেউ রিয়াকে জালাবেনা কিন্তু এখন রিয়া চাই যাতে হাসান তাকে এসে জালাই কিন্তু এখন আর হাসান আসে না. …………..
…………………………………..সম্প্ত………………………….
( সবার কাছে আমার একটা অনুরোধ যাকে ভালোবাসেন তাকে কখনো অবহেলা করবেন না কারন আপন মানুষের অবহেলার কষ্ট মরন যন্ত্রনার সমান . অবহেলার শেষ পরিণতি কখনো ভালো হয়না. সব সময় খারাপি হয় . অবহেলা হয় সর্ম্পক নষ্ট করে নয়ত জীবন নষ্ট করে . মোবাইল নষ্ট থাকাই বেশি বড় করতে পারলাম না তাও কেমন হয়েছে সবাই জানাবেন . যদি সবাই কমেন্ট করে জানান তাহলে খুব তাড়াতাড়ি গল্প দেওয়ার চেষ্ট করব . আর প্লিজ কেউ গল্প পড়ে গালাগাল করবেন না. আমি শুধু বাস্তবে অবহেলার পরিণতিটা তুলে ধরেছি যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তবে মাফ করবেন আর একটা কথা অনেক মেয়ের ধারণা ছেলেরা ভালোবাসতে পারেনা এটা ভুল ধারনা আমরা ছেলেরাও মন থেকে ভালোবাসতে পারি )
Comments
Post a Comment